ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী মোহসিন পাকনেজাদ ও গোপনে তেল বহনকারী (শ্যাডো ফ্লিট) হংকংয়ের পতাকাবাহী কয়েকটি জাহাজের ওপর বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয়। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গোপনে তেল বিক্রির অভিযোগে এগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স। স্পেলস নামের এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই ১০ টি জাহাজের মধ্যে একটি জাহাজ বাংলাদেশে ভাঙার জন্য আনার কথা ছিল। কমোরোসের পতাকাবাহী জাহাজটি নিষেধাজ্ঞার আগেই বাংলাদেশে নোঙর করে। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন এটি আর ভাঙা হবে না।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ বজায় রাখার নীতি গ্রহণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মাধ্যমে দেশটির তেল বাণিজ্য শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে যেন পারমাণবিক কর্মসূচি ও বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করতে না পারে তেহরান। সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, ইরানি শাসকগোষ্ঠী দেশের বিপুল তেল সম্পদের রাজস্বকে জনগণের কল্যাণের পরিবর্তে তাদের সংকীর্ণ এবং বিপজ্জনক স্বার্থে ব্যবহার করছে। তাদের বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইরানের তেল চীনে রফতানি বা সেখান থেকে মজুদকৃত তেল পরিবহনে জড়িত প্রতিষ্ঠানকেও চিহ্নিত করেছে মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয়। নিষেধাজ্ঞার আওতায় চীন ও ভারতসহ একাধিক দেশে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি রয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে গোপনে তেল রফতানিতে নিয়োজিত একটি বিশাল জাহাজ বহর রয়েছে ইরানের। এভাবে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করে থাকে তেহরান। তাদের সেনাবাহিনী এই উপার্জনের ওপর প্রচণ্ডভাবে নির্ভরশীল।
সূত্র : রয়টার্স।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন