ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানীকৃত পণ্যে ১০০ শতাংশ রেসিপ্রোকাল ট্যাক্স বা পাল্টা শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২ এপ্রিল থেকে এ শুল্ক আরোপ করা হবে।
তবে এসব পদক্ষেপেও সন্তুষ্ট নয় ওয়াশিংটন। মার্কিন কংগ্রেসের উভয়কক্ষের উদ্দেশে দেয়া সর্বশেষ ভাষণে এ বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘অন্যান্য দেশ দশকের পর দশক ধরে আমাদের বিরুদ্ধে তাদের শুল্ক ব্যবস্থার প্রয়োগ করেছে। এবার আমাদের পালা এটিকে সেসব দেশের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা। মোটা দাগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল এবং অন্য অনেক জাতি আমরা যতটা করি, আমাদের ওপর তার চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় শুল্ক আরোপ করছে। এটি খুবই অন্যায্য।’
তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের ওপর শুল্ক আরোপ করে ১০০ শতাংশের বেশি। চীনের আরোপিত গড় শুল্কহার আমাদের তাদের ওপর আরোপিত হারের দ্বিগুণ। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রে তা চতুর্গুণ। এটি ঘটছে বন্ধু-শত্রু সবার দ্বারাই। গোটা ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করছে না। কখনো করেনি। ২ এপ্রিল থেকেই রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ কার্যকর হচ্ছে। তারা আমাদের ওপর যে হারে শুল্ক আরোপ করবে, আমরাও তাদের ওপর সে হারেই শুল্ক আরোপ করব।’
তিনি বলেন, ‘তারা যা শুল্ক আরোপ করবে, আমরাও তাদের ওপর তেমনই শুল্ক আরোপ করব। যদি তারা আমাদের বাজারে প্রবেশের জন্য অশুল্ক বাধা ব্যবহার করে, তবে আমরাও তাদের বাজারে প্রবেশে একই বাধা সৃষ্টি করব।’
শুল্ক কার্যকরের সময় প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আগামী ২ এপ্রিল থেকে পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করব। আমি চেয়েছিলাম ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করতে। কিন্তু অনেকে ভাবতে পারেন, আমি এপ্রিল ফুল করছি। তাই ২ এপ্রিল থেকে পারস্পরিক শুল্ক চালু করব।’
পাল্টাপাল্টি শুল্কের প্রভাব কমাতে এরই মধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সোমবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন, সেখানে তিনি নতুন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) জামি গ্রিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে। জামি গ্রির মার্কিন শুল্ক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন।
আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডি’স রেটিং গত মাসে জানিয়েছিল, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারত, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর শুল্কহার অনেক বেশি। দেশগুলো সম্ভবত পারস্পরিক শুল্ক আরোপ হলে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে।’
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন