বৈশ্বিক ইস্পাত উৎপাদন গত মাসে কমেছে। ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের (ওয়ার্ডস্টিল) তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী জানুয়ারিতে মোট ১৫ কোটি ১৪ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে, যা ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কম।
বৈশ্বিক ইস্পাত উৎপাদন গত মাসে কমেছে। ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের (ওয়ার্ডস্টিল) তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী জানুয়ারিতে মোট ১৫ কোটি ১৪ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে, যা ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কম। ইস্পাত উৎপাদনকারী ৬৯টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়ার্ল্ডস্টিল।
বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক চীনেও গত মাসে উৎপাদন কমেছে। এ সময় দেশটি ৮ কোটি ১৯ লাখ টন উৎপাদন করেছে, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ কম। সম্প্রতি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপে নির্বাহী আদেশে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে চীনের ইস্পাত শিল্পে চাপ বাড়তে পারে। দেশটি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে ইস্পাত রফতানি করে না। তবে মার্কিন শুল্কের কারণে অন্যান্য দেশে চীনা রফতানি কমে যেতে পারে। দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের ফলে তাদের বাজারে কম দামে ইস্পাত পেতে পারে। আবার রফতানি কমায় চীনের স্থানীয় বাজারে ইস্পাতের দাম কমে যেতে পারে।
ইস্পাত উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভারত। দেশটি ১ কোটি ৩৬ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। দেশটিতে চীনের সস্তা ইস্পাত আমদানি অব্যাহতভাবে বাড়ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরও দেশটি ধাতবপণ্যটির নিট আমদানিকারক হিসেবে শেষ করতে পারে। বাড়তি আমদানির কারণে অভ্যন্তরীণ কোম্পানিগুলোর লোকসান বাড়ছে। তাই লোকসান এড়াতে দেশটির বাণিজ্য দপ্তর ইস্পাত আমদানিতে সুরক্ষা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা জাপান গত মাসে ৬৮ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করেছে, যা আগের বছরের ২০২৪ সালের তুলনায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ কম। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ৬৬ লাখ ও রাশিয়া ৬০ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১ দশমিক ২ ও দশমিক ৬ শতাংশ কম। এছাড়া গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়া ৫২ লাখ টন, তুরস্ক ৩২ লাখ, জার্মানি ২৮ লাখ, ব্রাজিল ২৬ লাখ ও ইরান ২২ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করেছে।
জানুয়ারিতে সাবেক সোভিয়েতভুক্ত ১০টি দেশ ও ইউক্রেনের ইস্পাত উৎপাদন ৭০ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। আগের মাসের তুলনায় দেশগুলোর উৎপাদন বেড়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। এর মধ্যে শুধু ইউক্রেনের উৎপাদন ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশোমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৬ লাখ ১১ হাজার টন হয়েছে। মাসিক ভিত্তিতে দেশটির উৎপাদন বেড়েছে ১১ দশমিক ৭ শতাংশ।
জিএমকে সেন্টারের তথ্যমতে, গত বছর বিশ্বব্যাপী ইস্পাত উৎপাদন ১৮৩ কোটি ৯০ লাখ টনে পৌঁছেছে, ২০২৩ সালের তুলনায় যা দশমিক ৯ শতাংশ কম। গত ডিসেম্বরে এ পরিমাণ ছিল ১৪ কোটি ৪৫ লাখ টন, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। তবে মাসিক ভিত্তিতে তা ১ দশমিক ৬ শতাংশ কম ছিল।
গত বছর ইউক্রেন ৭৫ লাখ ৭০ হাজার ইস্পাত উৎপাদন করেছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২১ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। গত ডিসেম্বরে দেশটি ৫ লাখ ৪৭ হাজার টন উৎপাদন করেছে, যা ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ১ এবং আগের মাসের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
খবর জিএমকেসেন্টার।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন