জাপানে ১৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৯:২৩ অপরাহ্ন

জাপানে ১৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি

  • ২২/০২/২০২৫

জাপানে মূল ভোক্তা মূল্য সূচক চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত ১৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই প্রবৃদ্ধি বাজারের পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে গেছে, যা ছিল ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) হল একটি অর্থনৈতিক সূচক যা সময়ের সাথে সাথে সাধারণ ভোক্তাদের দ্বারা ক্রয়কৃত পণ্য ও সেবার গড় মূল্য পরিবর্তনকে পরিমাপ করে। এটি মূলত মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (বিওজে) নির্ধারিত ২ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্য টানা তিন বছর ধরে অতিক্রম করেছে। ফলে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির চাপ স্পষ্ট হচ্ছে ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সুদের হার বাড়ানোর পক্ষে আরও কঠোর অবস্থান তৈরি হচ্ছে।

বিওজের বোর্ড সদস্য হাজিমে তাকাতা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুদের হার আরও বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।

নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জানুয়ারিতে তাজা খাবার ও জ্বালানি ছাড়া অন্যান্য পণ্যের মূল্য ২ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি গত বছরের মার্চ মাসের পর দ্রুততম বার্ষিক বৃদ্ধি। মার্চে এই বৃদ্ধি হার ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছিল।

এদিকে, জাপানের সরকারি বন্ডের চাহিদা বৃদ্ধি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে বিওজে এখন প্রাথমিক অনুমানের চেয়ে আরও দ্রুত ও আগ্রাসীভাবে সুদের হার বাড়াতে পারে। মজুরি বৃদ্ধির সম্ভাবনা ও ভোক্তা ব্যয়ের প্রবণতা এই প্রবণতাকে আরও জোরদার করছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাপানের ক্রেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বল্পমেয়াদী সুদের হার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করেছে। দেশটির গভর্নর কাজুও উয়েদা বলেছেন, যদি মজুরি বৃদ্ধি ও ভোক্তা ব্যয় বাড়তে থাকে, তাহলে সুদের হার আরও বাড়ানো হতে পারে।

অন্যদিকে, জানুয়ারিতে জাপানে পাইকারি মূল্যস্ফীতি ৪ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। টানা পাঁচ মাস ধরে এই বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এটি মুদ্রাস্ফীতির স্থায়ীত্বকেই নির্দেশ করে।

একটি বেসরকারি সমীক্ষা অনুযায়ী, বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন, পরবর্তী সুদের হার চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বাড়াতে পারে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us