যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে সয়াবিন উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে।
সংস্থাটি জানায়, খাদ্য, পশুখাদ্য ও শিল্প খাতে এ সময় রেকর্ড সয়াবিন প্রক্রিয়াজাত হতে পারে। এছাড়া এ সময় মজুদ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ বেড়ে ৮ কোটি ২০ লাখ টন হতে পারে।
তবে আইজিসি জানুয়ারির প্রতিবেদনের তুলনায় ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে বিশ্বব্যাপী মোট শস্য (গম ও অন্যান্য দানাদার শস্য) উৎপাদন পূর্বাভাস ৩০ লাখ টন কমিয়ে ২৩০ কোটি ১০ লাখ টন করেছে। গত বছর বিশ্বব্যাপী রেকর্ড ২৩০ কোটি ৯০ লাখ টন শস্য উৎপাদন হয়েছিল।
আইজিসি জানায়, চলতি বিপণন বর্ষে দক্ষিণ আমেরিকায় ভুট্টা উৎপাদন কমে যেতে পারে। এছাড়া সরগমের উৎপাদন হ্রাস বিশ্বব্যাপী মোট শস্য উৎপাদন কমার পেছনে ভূমিকা রাখবে। সংস্থাটি জানুয়ারির তুলনায় মোট শস্যের ব্যবহার পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়ে ২৩৩ কোটি ৪০ লাখ টনে নামিয়েছে। এছাড়া ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে বিশ্বব্যাপী শস্যের সমাপনী মজুদ আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কমে ৫৭ কোটি ৬০ লাখ টনে নেমে আসতে পারে, যা এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম।
অন্যদিকে মোট শস্যের আমদানি-রফতানি ১০ লাখ টন কমতে পারে বলে জানিয়েছে আইজিসি। চীনের সরগম ও গম আমদানির নিম্নমুখিতা মোট শস্য বাণিজ্যে প্রভাব ফেলবে। এ সময় মোট ১৯ কোটি ৭০ লাখ টন শস্য আমদানি-রফতানি হতে পারে।
২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে বৈশ্বিক চাল সরবরাহ ও চাহিদা পূর্বাভাস জানুয়ারির তুলনায় অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে। সংস্থাটি খাদ্যশস্যটির রেকর্ড উৎপাদন, ব্যবহার ও আমদানি-রফতানির পূর্বাভাস দিয়েছে।
এদিকে আইজিসির শস্য ও তেলবীজ মূল্যসূচক (জিওআই) পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় প্রায় ২২১ পয়েন্টে অপরিবর্তিত ছিল। যদিও এ সময় গমের রফতানি মূল্য ছিল ঊর্ধ্বমুখী। অন্যদিকে চাল ও সয়াবিনের বাজারমূল্য রেকর্ড কমেছে।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন