MENU
 প্রতিদিন বিমান করে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে কাজে যান, বাসা ভাড়া থেকে খরচ কম – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন

প্রতিদিন বিমান করে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে কাজে যান, বাসা ভাড়া থেকে খরচ কম

  • ১৬/০২/২০২৫

ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী র‍্যাচেল কউর প্রতিদিন বিমানে করে পেনাং থেকে কুয়ালালামপুরে কাজে যান। ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী র‍্যাচেল কউর মালয়েশিয়াতে অত্যন্ত সফলভাবে কাজ করছেন এবং তার নজরকাড়া দৈনিক যাতায়াতের জন্য ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে উঠেছেন। কাজ ও জীবনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি পুরো ভিন্ন পন্থা বেছে নিয়েছেন তিনি। র‍্যাচেল এয়ারএশিয়ার ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। তিনি প্রতিদিন বিমানে করে পেনাং থেকে কুয়ালালামপুরে কাজে যান। তিনি দীর্ঘ সময় গাড়ি চালানোর মতো একঘেয়েমি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই তিনি ‘সুপার কমিউটার’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার পারিবারিক ও পেশাগত জীবনের সৃজনশীল সমন্বয়ের মাধ্যমে র‍্যাচেল সবার মধ্যে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছেন।

যেভাবে র‍্যাচেল প্রতিদিন পারিবারিক ও পেশাগত জীবন সমন্বয় করেন

র‍্যাচেল দুই সন্তানের মা। তিনি সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিদিন বিমানে উড়ে কাজে যান, যাতে তিনি তার সন্তানদের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারেন। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, তার সন্তানরা বড় হয়ে যাচ্ছে। তার ছেলের এখন ১২ বছর বয়স এবং মেয়ের বয়স ১১ বছর। তিনি সন্তান্দের সঙ্গে আরো বেশি সময় কাটাতে চান।

তিনি বলেন, ‘মায়ের (সন্তানের) পাশে থাকার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ ২০২৪ সালে তার এই রুটিন শুরু হওয়ার আগে, তিনি কুয়ালালামপুরে অফিসের কাছাকাছি বসবাস করতেন। তিনি সপ্তাহে একবার পেনাংয়ে ফিরে যেতে পারতেন। কিন্তু দূরত্বের জন্য তার কাজ এবং পারিবারিক সময়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন ছিল। এখন, প্রতিদিন উড়ে আসা-যাওয়ার কারণে তিনি তার কাজের পাশাপাশি সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারছেন।

র‍্যাচেল প্রতিদিন সকাল ৪টায় ঘুম থেকে ওঠেন। সকাল ৫ টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে সকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছান। তার বিমান সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে অফিসে পৌঁছায়, যা তাকে তার কাজ শুরু করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়। অফিসে সব কাজ শেষ করার পর তিনি বিমানে চড়ে বারি ফিরে আসেন এবং প্রায় রাত ৮টায় বাড়িতে পৌঁছান। এই ব্যবস্থাটি তার জন্য অত্যন্ত আনন্দদায়ক, কারণ তিনি প্রতিদিন রাতে তার সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন।

র‍্যাচেল কউরের যাতায়াত: পারিবারিক জীবনে উন্নতি, খরচেও সাশ্রয়

অনেকেই হয়তো জেনে অবাক হবেন, র‍্যাচেলের জন্য বিমানে করে যাতায়াত করা তার অফিসের কাছাকাছি একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেওয়ার চেয়ে সস্তা। তাছাড়া, এই যাতায়াতের মাধ্যমে তিনি খাবার এবং বাসস্থান খরচেও সাশ্রয় করছেন। আগে, অফিসের কাছাকাছি থাকার জন্য তিনি মাসে প্রায় ৪৭৪ ডলার খরচ করতেন । বর্তমানে, তার খরচ কমে ৩১৬ ডলার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইটি রিপোর্ট। তাই, এই যাতায়াতের রুট শুধু তার পারিবারিক জীবনকে উন্নত করেনি, বরং তার আর্থিক খরচও কমিয়েছে।

বিমানে থাকার সময় তিনি সঙ্গীত শোনেন, তার জীবন নিয়ে ভাবেন এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এই শান্ত মুহূর্তগুলো তাকে কাজ ও পারিবারিক জীবনের মাঝে এক ধরনের মানসিক শান্তি দেয়, যা একটি ব্যস্ত দিনের আগে এবং পরে খুবই কার্যকরী হয়ে ওঠে ।

যে কারণে র‍্যাচেল বাড়িতে বসে কাজ করেন না

র‍্যাচেল বলেন, অফসাইটে কাজ করার তুলনায় অফিসে কাজ করার সময় তিনি অনেক বেশি প্রাণবন্ত থাকেন। তিনি বলেন, “মানুষ দিয়ে ঘেরা থাকলে কাজ শেষ করা অনেক সহজ… যখন আপনি মানুষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।।”

তার মতে, সহকর্মীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ তার উৎপাদনশীলতা বাড়ায় এবং তাকে একজন ভালো কর্মী করে তোলে। এ ব্যাপারে এয়ারএশিয়া তার সাথে পুরোপুরি সমর্থন জানিয়েছে। ফলে, তিনি অফিসের সময় কাজের প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন এবং বাড়ি ফিরে পরিবারকে সম্পূর্ণ সময় দিতে পারেন।

 

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us