সরকারের দক্ষ পদক্ষেপ পর্যটন শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেঃ অ্যাসোসিয়েশন

সরকার ২০২৫ সালের জন্য ১ কোটি ৬০ লক্ষ আন্তর্জাতিক পর্যটক আগমনের একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, যা বিদেশ সফরের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার উপর নির্ভর করে। ২০২৪ সালে, ইন্দোনেশিয়া ১৩.৯ মিলিয়ন বিদেশী আগমন রেকর্ড করেছে, যা ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারীর পর থেকে সর্বোচ্চ।
আসিয়ান পর্যটন বাজারে ইন্দোনেশিয়া যাতে প্রতিযোগিতামূলক থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য আসিতা সরকারকে এই ছাঁটাই পুনর্বিবেচনা এবং আরও শক্তিশালী আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
শিল্প সংগঠনটি সন্দেহ প্রকাশ করেছে যে সরকারের আগ্রাসী খরচ কমানোর ব্যবস্থার অধীনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যেতে পারে, যা পর্যটন মন্ত্রকের বাজেটকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে।
আসিতা সেক্রেটারি-জেনারেল বুদিয়ান্তো আরদিয়ানসিয়াহ বাজেট হ্রাসের সমালোচনা করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে তারা প্রচারমূলক প্রচেষ্টাকে সীমাবদ্ধ করবে এবং থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মতো প্রতিবেশী দেশগুলির বিরুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিযোগিতাকে দুর্বল করে দেবে।
পর্যটন মন্ত্রকের বাজেট হ্রাস অবশ্যই জাতীয় পর্যটন শিল্পকে, বিশেষ করে ভ্রমণ সংস্থাগুলিকে প্রভাবিত করবে। আমরা শীঘ্রই এই ব্যয় হ্রাসের প্রভাব অনুভব করতে শুরু করব “, জাকার্তায় বুদিয়ান্তো বলেন। “বিদেশী পর্যটকদের লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে, তবুও বাজেট কমানো হয়েছে-এটি পরস্পরবিরোধী।”
পর্যটন মন্ত্রকের বাজেট কমানো পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বাজেট ঠিক কতটা কমানো হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, ঐতিহাসিকভাবে এটি মন্ত্রকের মধ্যে সর্বনিম্ন বরাদ্দ পেয়েছে।
গত বছর, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে পর্যটন ও সৃজনশীল অর্থনীতি মন্ত্রককে ২০২৫ সালের বাজেট বছরের জন্য জঢ় ১.৭ ট্রিলিয়ন বরাদ্দ করা হয়েছিল। মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে আরপি ৩.৪ ট্রিলিয়নে বৃদ্ধির অনুরোধ করেছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল।
অক্টোবরে প্রাবোও সুবিয়ান্তোর উদ্বোধনের পরে, পর্যটন ও সৃজনশীল অর্থনীতি খাতগুলি দুটি পৃথক মন্ত্রণালয়ে বিভক্ত করা হয়েছিল, যা পর্যটন মন্ত্রকের বাজেটকে আরপি ১.৪ ট্রিলিয়নে কমিয়ে এনেছিল।
একটি ছোট প্রচারমূলক বাজেটের সাথে, ইন্দোনেশিয়া থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়ার সাথে প্রতিযোগিতা করতে লড়াই করতে পারে, যাদের ভাল অর্থায়নে পর্যটন প্রচার এবং বিস্তৃত আন্তর্জাতিক প্রসার রয়েছে।
বুদিয়ান্তো সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে একটি ছোট বাজেটের ফলে বিদেশী বিপণনের প্রচেষ্টা হ্রাস পাবে, যার ফলে সম্ভাব্যভাবে আন্তর্জাতিক আগমন কম হবে।
“অবশ্যই, আমরা আসিতায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের আগমনের লক্ষ্য অর্জন করতে চাই। সংস্থাটি সরকারি সহায়তা সহ বা ছাড়াই স্বাধীনভাবে ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন আকর্ষণগুলির প্রচার চালিয়ে যাবে “, তিনি বলেন।
Source : Jakarta Globe.id