MENU
 ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

  • ০৫/০২/২০২৫

ট্রাম্প চেয়েছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের মতো সৌদি আরবও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করুক।ট্রাম্প চেয়েছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের মতো সৌদি আরবও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করুক। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি আরব ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানাচ্ছে না বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছে রিয়াদ।
মঙ্গলবার এক চাঞ্চল্যকর ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে এবং সেখানে ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তবে বুধবার এক বিবৃতিতে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ফিলিস্তিনিদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের যেকোনো প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করছে এবং এ বিষয়ে তাদের অবস্থান অপরিবর্তনীয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে রাজ্যের অবস্থান ‘সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন’ ভাষায় তুলে ধরেছেন, যা কোনোভাবেই বিকৃত করার সুযোগ নেই।
গাজার চলমান সংঘাতে ফিলিস্তিনিরা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন যে, তারা আরেকটি ‘নাকবা’ বা বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারেন। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের জন্মভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল, যা ইতিহাসে ‘নাকবা’ নামে পরিচিত।
মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি নীতির ক্ষেত্রে ট্রাম্প ও ইসরায়েলের জন্য পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে, যাতে দেশটি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর রিয়াদ এই আলোচনা স্থগিত করে, কারণ ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে আরব বিশ্বে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ট্রাম্প চেয়েছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের মতো সৌদি আরবও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করুক। ২০২০ সালে ‘আব্রাহাম চুক্তি’ স্বাক্ষর করে এসব দেশ প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে, যা কয়েক দশকের ‘ট্যাবু’ ভেঙে দেয়। সৌদি আরবের মতো প্রভাবশালী দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলে তা হবে দেশটির জন্য বড় কূটনৈতিক জয়। কারণ সৌদি আরব শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, পুরো মুসলিম বিশ্বের ওপর ব্যাপক প্রভাব রাখে এবং এটি বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us