সিরিয়ার নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশটির আকাশপথে ইরানের সামরিক কিংবা বেসামরিক কোনো ধরনের বিমান চলাচল করতে পারবে না। রোববার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতা পুনর্গঠনকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধাগ্রস্ত করবে।
সিরিয়ার কার্যত নতুন নেতা আহমেদ আল-শারা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে অনেকটা কমে গেছে। শারা সুন্নি ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গ্রুপ হায়াত আল-তাহরির শামের (এইচটিএস) প্রধান। তার নেতৃত্বেই চলতি মাসের শুরুর দিকে এক আকস্মিক হামলায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসাদ সরকারের পতন ঘটে।
আশারাক আল-আওসাতকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শারা বলেন—সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ইরানের আঞ্চলিক প্রকল্পকে ৪০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। এটি ইরানের প্রতি সিরিয়ার অবস্থানে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত। তিনি আরও বলেন, ইরানি মিলিশিয়াদের সরিয়ে এবং সিরিয়াকে ইরানি প্রভাব থেকে মুক্ত করে আমরা আঞ্চলিক স্বার্থ রক্ষা করেছি—যা কূটনীতি বা বিদেশি চাপেও সম্ভব হয়নি। এতে আমাদের ক্ষয়-ক্ষতিও ছিল ন্যূনতম।
আসাদের শাসনকালে সিরিয়ার মাধ্যমে লেবাননের হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাচার করত ইরান। হিজবুল্লাহর নতুন মহাসচিব নাইম কাসেম স্বীকার করেছেন, সিরিয়ার মাধ্যমে তাদের সরবরাহ পথ এখন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে তাহরির আল-শাম নতুন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে। সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সানার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এই দুই পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর এই পদক্ষেপ নেয়া হলো। হায়াত তাহরির আল-শাম তাদের সশস্ত্র শাখার কমান্ডার জেনারেল আসাদ হাসান আল-শিবানিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। নতুন প্রশাসনের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ সিরিয়ার জনগণের শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনার আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন