যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বাংলাদেশ থেকে কমেছে, বেড়েছে ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বাংলাদেশ থেকে কমেছে, বেড়েছে ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে

  • ১৭/১২/২০২৪

একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশী তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের ১০ মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে দেশটির পোশাক আমদানি কমেছে। একই সময় বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলসের (ওটিইএক্সএ) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা পোশাকের অর্থমূল্য ছিল ৬১৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার, ২০২৩ সালের একই সময় ছিল ৬৩৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এ হিসেবে চলতি বছরের ১০ মাসে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
চলতি বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত ভিয়েতনাম থেকে ১ হাজার ২৭০ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের একই সময় আমদানি হয়েছিল ১ হাজার ২২২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের। এ হিসেবে দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির অর্থমূল্য আলোচ্য ১০ মাসে ছিল ৪০৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের, যা গত বছরের একই সময় ছিল ৩৯৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এ হিসেবে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
চলতি বছর ১০ মাসে গোটা বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ। অর্থমূল্য বিবেচনায় শীর্ষ অবস্থানে থাকা চীন থেকে আমদানি কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। চীন ও ভিয়েতনামের পরে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এরপর রয়েছে যথাক্রমে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, কম্বোডিয়া, হন্ডুরাস ও পাকিস্তান। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মেক্সিকো থেকে কমেছে ৯ দশমিক ১৬ ও হন্ডুরাস থেকে কমেছে ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। কম্বোডিয়া ও পাকিস্তান থেকে বেড়েছে যথাক্রমে ১২ দশমিক ৯১ ও ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
ওটিইএক্সএ বছরভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা পোশাকের অর্থমূল্য ছিল ৯৭২ কোটি ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ডলার। ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৭২৮ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ডলারে। এ হিসেবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা পোশাকের অর্থমূল্য কমে যায় ২৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেশি আমদানি করা পোশাক পণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মেন অ্যান্ড বয়েজ ওভেন ট্রাউজার, উইমেন অ্যান্ড গালর্স ওভেন ট্রাউজার, মেন অ্যান্ড বয়েজ ওভেন শার্টস পোশাক, কটন নিটেড সোয়েটার ও কটন নিটেড টি-শার্টস। বাংলাদেশের পোশাক খাতসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত এ পণ্যগুলোর মূল্য ন্যূনতম ৩ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us