বাশার আল-আসাদের পতনের চার দিন পর দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয়া বিদ্রোহী যোদ্ধারা বিপুল পরিমাণ ক্যাপটাগন উদ্ধার করেছেন। এই মাদকদ্রব্য দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ায় ব্যাপকভাবে উৎপাদিত হয়ে আসছিল। বাশার আল-আসাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার সঙ্গে এই মাদকের গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিদ্রোহীদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) শীর্ষ কমান্ডার আহমেদ আল-শারা (যিনি আল-জুলানি নামেও পরিচিত) অভিযোগ করেছেন, বাশারের সময় সিরিয়া বিশ্বে ক্যাপটাগনের ‘বৃহত্তম উৎস’ ছিল। তিনি ক্যাপটাগনের উৎপাদন ও বাণিজ্য দমন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ক্যাপটাগন হলো আসক্তিকর এক ধরনের অ্যামফেটামিন জাতীয় উত্তেজক। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এটি প্রধানত সিরিয়ায় উৎপাদিত এবং উপসাগরীয় দেশগুলোয় চোরাচালান হয়েছে। এর মাধ্যমে আসাদ শাসন এই মাদককে আলোচনার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে আরব লীগের সদস্যপদ পুনঃস্থাপন করে, যখন বিভিন্ন দেশ অবৈধ মাদক বাণিজ্য রোধের চেষ্টা চালায়।
২০২৩ সালের ১ মে আম্মানে অনুষ্ঠিত আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে দামেস্ক জর্ডান ও ইরাকের সঙ্গে মাদক উৎপাদন ও চোরাচালানের উৎস শনাক্ত করতে একমত হয়, জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। এর এক সপ্তাহ পর, দক্ষিণ সিরিয়ায় এক বিমান হামলায় এক শীর্ষস্থানীয় সিরীয় মাদক চোরাকারবারি ও তার পরিবার নিহত হয়, যা জর্ডানের প্রতি ইঙ্গিত করে।
ক্যাপটাগন প্রথমে ১৯৬০-এর দশকে জার্মানির ডেগুসা ফার্মা গ্রুপে উদ্ভাবিত একটি মানসিক ওষুধের ব্র্যান্ড নাম ছিল। এটি মূলত অমনোযোগী, নারকোলেপসি এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজক হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ক্যাপটাগন ট্যাবলেটে ফেনাইটাইলিন নামক একটি সিনথেটিক মাদক থাকত, যা ফেনেথাইলামিন পরিবারের একটি যৌগ। অ্যামফেটামিনও এই পরিবারে অন্তর্ভুক্ত।
খবর: আল জাজিরা।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন