ধনীদের জন্য করস্বর্গ ও আয়েশি জীবনযাপনের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ইউরোপের মোনাকো। বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম এ রাষ্ট্রের জনসংখ্যা ৩৯ হাজার, যাদের প্রায় ৭০ শতাংশই কোটিপতি। সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী দেশটির আয়তন ১৫ একর বেড়েছে। এখানে নির্মিত হচ্ছে নতুন ইকো-ডিস্ট্রিক্ট মারেতেরা। গত সপ্তাহে মোনাকোর প্রিন্স দ্বিতীয় আলবার্ট এর উদ্বোধন করেছেন। ২০১৩ সালে ঘোষিত এক প্রকল্পের অংশ হিসেবে সমুদ্রের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে মারেতেরার ভূমি উদ্ধার করা হয়। এখানে পানি নিষ্কাশনের আগে সমুদ্রে কংক্রিট চেম্বার তৈরি করা হয়েছে এবং এরপর সাড়ে সাত লাখ টন বালি দিয়ে অংশটি ভরাট করা হয়েছে। এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ২১০ কোটি ডলার। এখানে থাকছে মেরিনা, বিভিন্ন পরিষেবাসংবলিত ওয়াকওয়ে ও আবাসন। অন্তর্ভুক্ত রয়েছে শতাধিক অ্যাপার্টমেন্ট ও ১০টি ভিলা। সমুদ্র পারে শোভা বাড়াতে ইতালির তাসকানি থেকে আনা হয়েছে এক হাজার গাছ। পরিকল্পনা অনুসারে, মারেতেরার অর্ধেক অংশ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তারা পার্ক, সাইকেল ট্র্যাক, মেরিনা ও শপিংয়ের সুবিধা পাবেন। একাধিক আন্তর্জাতিক স্থপতি এ প্রকল্পে অংশ নিয়েছেন। বিখ্যাত স্থপতি রেনজো পিয়ানো ‘লে রেনজো’ নামের একটি আবাসিক ভবন ডিজাইন করেছেন। পরিবেশ সংরক্ষণের কারণে বর্তমানে এ ধরনের প্রকল্পগুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হলেও মোনাকোর ভূমির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। মারেতেরার উন্নয়নের সময় সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব কমানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ীই তৈরি হয়েছে এ ইকো-ডিস্ট্রিক্ট। কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে সামুদ্রিক ঘাস। এছাড়া এলাকার ৮০ শতাংশ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ পরিচালিত হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে। প্রকল্পটি মোনাকোর রাজস্ব অর্জনে ভূমিকা রাখবে। বেসরকারি অর্থায়নে নির্মিত হলেও সম্পত্তি বিক্রির ওপর মোনাকো সরকারকে ২০ শতাংশ কর দেবে বিক্রেতা। মারেতেরায় সম্পত্তির মূল্য প্রতি বর্গফুট ৯ হাজার ৭৫০ ডলার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর ও ছবি সিএনএন
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন