MENU
 ব্রিটিশ রাজনীতিতে বিনিয়োগ করবেন মাস্ক – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন

ব্রিটিশ রাজনীতিতে বিনিয়োগ করবেন মাস্ক

  • ০৩/১২/২০২৪

যুক্তরাজ্যের সংস্কারপন্থী রাজনৈতিক দল রিফর্ম ইউকে পার্টির প্রধান নাইজেল ফারাজকে প্রায় ১০ কোটি ডলার দেবেন ইলন মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন মাস্ক। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় বিপুল পরিমাণ তহবিলও জুগিয়েছেন। এবার এই ধনকুবের ব্রিটিশ রাজনীতিতে নজর দিয়েছেন।
ইলন মাস্ক যুক্তরাজ্যের রাজনীতি নিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এই গ্রীষ্মে সাউথপোর্ট দাঙ্গার সময় মাস্ক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারে সমালোচনা করে বলেছিলেন, তিনি দেশের সব সম্প্রদায়ের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ অবস্থায় ইলন মাস্ক নাইজেল ফারাজকে ৭৮ মিলিয়ন পাউন্ড বা ৯৭ মিলিয়ন ডলার (৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার) অনুদান দেবেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।
দ্য টাইমস জানিয়েছে, মাস্ক ফারাজকে বড় ধরনের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য’ সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়টি ফারাজের রিফর্ম ইউকে পার্টিকে সহায়তা করবে।
মাস্ক এর আগেও ব্রিটিশ রাজনীতি নিয়ে তাঁর মতামতের ইঙ্গিত দিয়েছেন। গত সপ্তাহে একটি নতুন নির্বাচনের দাবিতে ভাইরাল হওয়া একটি অনলাইন পিটিশনের লিংক শেয়ার করে তিনি লিখেন, ব্রিটিশ জনগণ একটি অত্যাচারী পুলিশি রাষ্ট্র থেকে মুক্তি চায়।
ইলন মাস্কের দেওয়া এই অর্থ যদি নাইজেল ফারাজ এই অর্থ পান, তবে তা ব্রিটিশ রাজনীতি এবং কনজারভেটিভ পার্টির মেরুদণ্ড ধসিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত নতুন নেতা কেমি ব্যাডেনকের নেতৃত্বে কনজারভেটিভ পার্টি যখন তাদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে তখন এই অনুদান তাদের জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিতে পারে। এ বিষয়ে ফারাজ বলেছেন, আমি এটুকুই বলতে পারি যে, আমি মাস্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং তিনি আমার নীতিগত অবস্থানগুলোকে সমর্থন করছেন। আমাদের দুজনেরই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়েছে এবং ট্রাম্প আমার সম্পর্কে মাস্কের সামনে ইতিবাচক কথা বলেছেন। আমাদের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
মাস্ক সম্প্রতি শীর্ষস্থানীয় ডানপন্থী অনেক রাজনীতিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারে একটি ‘শীর্ষ’ পদও পেয়েছেন। ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, মাস্ক একটি নতুন বিভাগে নেতৃত্ব দেবেন, যা একটি আরও দক্ষ সরকার গঠনে কাজ করবে। এই পদটি বৈধ হলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি আরও বেশি প্রভাবশালী হয়ে উঠবেন।
খবর: দ্য টাইমস।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us