এশিয়ায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি সামান্য বেড়েছে – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৫ অপরাহ্ন

এশিয়ায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি সামান্য বেড়েছে

  • ০২/১২/২০২৪

বৃহত্তম ভোক্তা চীনের আমদানি বাড়ায় এশিয়ায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি গত মাসে সামান্য বেড়েছে। তবে ২০২৩ সালের তুলনায় চলতি বছর এ অঞ্চলে আমদানি কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলএসইজি অয়েল রিসার্চের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এলএসইজির তথ্যানুযায়ী, নভেম্বরে এশিয়ায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি ২ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল (বিপিডি) হতে পারে, যা অক্টোবরে ছিল ২ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার বিপিডি। সেপ্টেম্বরে ২ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার বিপিডি আমদানি হয়েছিল।
এশিয়ার আমদানিতে ধীরগতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাসের চলতি সপ্তাহ শেষে অনুষ্ঠেয় সভায় প্রভাব ফেলতে পারে। এ অবস্থায় সংগঠনটি পূর্বনির্ধারিত উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা আবারো পিছিয়ে দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
গত নভেম্বরে আমদানি সামান্য বাড়লেও বার্ষিক ভিত্তিতে এশিয়ার মোট অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ওপেক প্লাস ও ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) পূর্বাভাসের বিপরীত।
২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে এশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি ছিল দৈনিক ২ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ৩ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল কম। গত বছরের প্রথম ১১ মাসে এটি ২ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল আমদানি করা হয়েছিল। যদিও ওপেকের সাম্প্রতিক পূর্বাভাসে আমদানি বাড়ার কথা বলেছিল। পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, চলতি বছর এশিয়ায় জ্বালানি তেলের চাহিদা ২০২৩ সালের তুলনায় দৈনিক ১০ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল বাড়তে পারে।
সংগঠনটির নভেম্বরের বাজার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনে দৈনিক সাড়ে চার লাখ ব্যারেল ও এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক ভারতে আড়াই লাখ ব্যারেল চাহিদা বাড়বে। এশিয়ার বাকি দেশগুলোয় বাড়বে ৩ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল । জুলাই থেকে ওপেক প্লাস প্রতি মাসে এশিয়ার চাহিদা বাড়ার পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। জুলাইয়ের প্রতিবেদনে চীনের চাহিদা ৭ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল বাড়ার কথা বলা হলেও নভেম্বর পর্যন্ত তা কমিয়ে সাড়ে ৪ লাখ ব্যারেলে আনা হয়েছে।
এলএসইজির তথ্যানুযায়ী, নভেম্বরে চীনের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির পরিমাণ ১ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল হতে পারে, যা তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে বিশ্বের শীর্ষ আমদানিকারক দেশটিতে চলতি বছরে কম আমদানি হতে পারে। ২০২৪ সালের প্রথম ১০ মাসে চীনের আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ১ কোটি ৯৪ লাখ ব্যারেল, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বা ৪ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল কম।
এদিকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মার্কিন বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম চলতি বছরের ১২ এপ্রিল ব্যারেলপ্রতি ৯২ ডলার ১৮ সেন্টে উন্নীত হয়েছিল। এর পর থেকে এর দাম নিম্নমুখী হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর ব্যারেলপ্রতি ৬৯ ডলার ১৯ সেন্টে নামে, যা ৩৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে এর পর থেকে দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো ভূরাজনৈতিক ঘটনার কারণে দাম ওঠানামা করছে, সরবরাহ ও চাহিদার মৌলিক ভিত্তি থেকে নয়। এ মৌলিক বিষয়গুলোই ওপেক প্লাসের বৈঠকে সদস্য দেশগুলোর মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জ্বালানি তেল উত্তোলন করে। ২০২৪ ও ২০২৫ সালে ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল সংগঠনটি। তবে চীনসহ এশিয়ার দেশগুলোয় চাহিদা কমে যাওয়ায় এ পরিকল্পনা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকের পর উত্তোলন বাড়ানোর সম্ভাবনা দেখছেন।
খবর রয়টার্স।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us