গ্রিনল্যান্ডের কথা ভাবলেই চোখে ভাসে প্রচণ্ড শীত, তুষার কিংবা হাজার মাইলের দূরত্বের ছবি। এর প্রথম দুটো হয়তো বদলাবে না, তবে এরই মধ্যে দূরত্ব কমে গেছে বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপটির। কেননা রাজধানী নুকে চালু হয়েছে অঞ্চলটির প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এতে রয়েছে ২ হাজার ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের রানওয়ে, যা বড় আকারের উড়োজাহাজ ওঠানামার উপযোগী। মার্কিন উড়োজাহাজ সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলাইনস আগামী বছরের জুন থেকে নিউইয়র্ক ও নিউজার্সি থেকে নুকে সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে। যাত্রাপথে সময় লাগবে মাত্র ৪ ঘণ্টার কিছু বেশি। গ্রিনল্যান্ডের বর্তমান বিমানবন্দরগুলোর সবগুলোই অভ্যন্তরীণ নতুবা আঞ্চলিক। এসব বিমান বা ক্রুজ জাহাজে করে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার ভ্রমণকারী গ্রিনল্যান্ডে আসেন। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালুর কারণে পর্যটনের সুযোগ আরো বাড়বে বলে মনে করছেন দেশটির পর্যটনসংশ্লিষ্টরা। গ্রিনল্যান্ড এয়ারপোর্টসের প্রধান নির্বাহী জেনস লৌরিডসেন জানান, নুকে নতুন বিমানবন্দর চালু হলে পর্যটন ও অর্থনীতির ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে। বিমানবন্দর অপারেটররা ধারণা করছেন, প্রতিটি ফ্লাইট গ্রিনল্যান্ডের অর্থনীতিতে ২ লাখ ডলার যোগ করবে। পর্যটন সম্ভাবনা সামনে রেখে ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ আরো দুটি বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা আছে গ্রিনল্যান্ড কর্তৃপক্ষের। বিমানবন্দর দুটি উত্তরে দ্বীপটির ইলুলিসাট ও দক্ষিণে কাকোরটককে সংযুক্ত করবে। গ্রিনল্যান্ডের মাত্র ৯০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে। স্থানীয় ও পর্যটকরা গন্তব্যে যেতে বিমান বা নৌকা ব্যবহার করতে অভ্যস্ত।
খবর ও ছবি সিএনএন
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন