কানাডায় একটি কয়লা খনি পুনরায় চালু করার অনুমোদন পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ধনী নারী জিনা রাইনহার্ট। অনুমোদন নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে চলা লড়াই ভোটাভুটির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে এ উদ্যোগে জ্বালানি লবির গোপন সমর্থনের অভিযোগ রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সমর্থক জিনা রাইনহার্ট গ্র্যাসি মাউন্টেনের এ প্রকল্পকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। অনুমোদন পেতে প্রচারণার পেছনে গত পাঁচ বছরে তিনি লক্ষাধিক ডলার খরচ করেছেন। ২০২১ সালে স্থানীয় নিয়ন্ত্রকরা খনিটিকে ‘জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট নয়’ বলে ঘোষণা করেছিল।
গত সপ্তাহে ভারী তুষারপাতের মধ্যেও প্রায় ছয় হাজার জনসংখ্যার ক্রোসনেস্ট পাস শহরের অর্ধেক অধিবাসী ভোট দেন। ফল গণনায় দেখা যায়, ৭২ শতাংশ ভোটার রাইনহার্টের কোম্পানি নর্থব্যাক হোল্ডিংসের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন। তবে প্রায় ১ হাজার ৫২১ হেক্টর আয়তনের উন্মুক্ত এ খনির বিরোধিতা এখনো রয়ে গেছে। পাশের র্যাঞ্চল্যান্ড পৌরসভা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে প্রকল্পটি পরিবেশের ক্ষতি করবে এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে না।
খনিটির পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছে সিটিজেন্স সাপোর্টিভ অব ক্রোসনেস্ট কোল (সিএসসিসি) নামের সংস্থা। ভোটের আগে গ্রেট ওয়েস্ট মিডিয়া তদন্ত সাপেক্ষে জানিয়েছে, সংস্থাটি প্রচারণার তহবিলের সঙ্গে জ্বালানি লবির সংযোগ সম্পর্কে পুরোপুরি তথ্য প্রকাশ করেনি। গ্র্যাসি মাউন্টেন মাইন থেকে বার্ষিক ৪৫ লাখ টন কয়লা উত্তোলনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এ ধরনের কয়লা সাধারণত ইস্পাত শিল্পে ব্যবহার হয়।
বিতর্কিত খনি ব্যবসায়ী জিনা রাইনহার্ট সম্প্রতি ট্রাম্পের নির্বাচনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সংশয়ী মত প্রকাশ করে এমন ডানপন্থী গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা দিয়ে থাকেন তিনি। গ্র্যাসি মাউন্টেন প্রকল্পের বিরোধিতাকারীরা ২০২১ সালের নিয়ন্ত্রক সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছেন, ‘প্রকল্পটি জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট নয়’।
২০২২ সালে আলবার্টার তৎকালীন জ্বালানিমন্ত্রী সোনিয়া স্যাভেজ জানিয়েছিলেন, নতুন কয়লা প্রকল্পের আবেদন গ্রহণ করা হবে না, তবে ‘উন্নত কয়লা প্রকল্প’-এর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকবে। সরকার পরিবর্তনের পর নতুন জ্বালানিমন্ত্রী ব্রায়ান জিন প্রকল্পটিকে ‘উন্নত কয়লা প্রকল্প’ হিসেবে ঘোষণা দেন। এরপর নর্থব্যাক আবার আবেদন জমা দেয়। আগামী ৩ ডিসেম্বর ও ১৪ জানুয়ারি আলবার্টা এনার্জি রেগুলেটর (এইআর) এ আবেদনের ওপর শুনানি করবে। অন্যদিকে র্যাঞ্চল্যান্ড পৌরসভা এইআরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেয়েছে।
খবর এফটি।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন