আমেরিকার পণ্যে শুল্ক আরোপের হুমকি মেক্সিকোর – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ অপরাহ্ন

আমেরিকার পণ্যে শুল্ক আরোপের হুমকি মেক্সিকোর

  • ২৮/১১/২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকোর পণ্যে শুল্ক আরোপ করলে মেক্সিকোও পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শিনবম। ট্রাম্পের হুমকি কিংবা শুল্ক আমেরিকার অভিবাসন ও মাদক সমস্যার সমাধান করবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পাঠানো তার এক চিঠি সংবাদ সম্মেলনে পড়ে শোনান শিনবম। ট্রাম্পের শুল্ক আরাপের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাস বলেছে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধে কেউই জয়ী হবে না। অন্যদিকে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সব সমস্যা সমাধানের বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে ইতিবাচক ফোনালাপ হয়েছে তার।
ট্যারিফ বা শুল্ককে নিজের অভিধানের সবচেয়ে সুন্দর শব্দ হিসেবে অভিহিত করা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচার চলাকালে চীনের আমদানি পণ্যে ব্যাপক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। সীমান্ত দিয়ে অপরাধী ও মাদক প্রবাহ বন্ধ না করলে মেক্সিকোর পণ্যের ওপরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি তিনি। উল্টো তার তালিকায় যুক্ত হয়েছে কানাডা। সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প ঘোষণা দেন দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর তিনি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। ট্রাম্প তার পোস্টে উল্লেখ করেন, কানাডা ও মেক্সিকো আমেরিকার সীমান্তে ফেন্টানলসহ বিভিন্ন মাদক পাচার এবং অবৈধ অভিবাসীদের কঠোরভাবে দমন না করা পর্যন্ত এই শুল্ক বহাল থাকবে। পাশাপাশি চীনের সব পণ্যের ওপর অতিরিক্ত আরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
এর প্রতিক্রিয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি চিঠি পাঠান মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শিনবম। চিঠি পাঠানোর আগে সংবাদ সম্মেলনে সেটি পড়ে শোনান তিনি। চিঠিতে তিনি বলেন, একটি শুল্কের জবাবে আরেকটি শুল্ক আরোপ হবে এবং নিজেদের সাধারণ ব্যবসাকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় না নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তা চলতেই থাকবে। তাতে কোনো সমাধান আসবে না। আমেরিকায় মাদক একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠেছে বলে উল্লেখ কোরে শিনবম আরও বলেছেন, তার প্রশাসন ফেন্টানল মহামারি মোকাবিলায় সাহায্য করার আগ্রহ দেখিয়েছে। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে শরণার্থীদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২৪ সালের নভেম্বরে সীমান্তে অবৈধ শরণার্থী গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৭৫ শতাংশ কমেছে—আরিকার বর্ডার পেট্রোলের এমন পরিসংখ্যান তুলে ধরে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট বলেন, শুল্ক আরোপ উভয় দেশের মূল্যস্ফীতি ও চাকরিচ্যুতির কারণ হবে।
খবর: সিএনবিসি।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us