প্রথমবারের মতো ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে মার্কিন সরকারি ঋণ। দেশটির হালনাগাদ আর্থিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এমন ওয়েবসাইট ইউএস ডেট ক্লক এ তথ্য জানিয়েছে।
গত জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ঋণ প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে প্রায় চার মাসে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়েছে। জুলাই শেষে ইউএস ট্রেজারি জানিয়েছিল, জাতীয় ঋণ ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। তবে নতুন তথ্যটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি মার্কিন অর্থ বিভাগ।
গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস (সিবিও) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ২০২৭ সালের মধ্যে ঋণ জিডিপির ১০৬ শতাংশে পৌঁছতে পারে এবং ২০৩৪ সাল নাগাদ ১২২ শতাংশ হতে পারে। এছাড়া জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বর্তমান নীতির অধীনে সরকারি ঋণ ধীরে ধীরে বাড়বে এবং ২০৩২ সালের মধ্যে এটি জিডিপির ১৪০ শতাংশের বেশি হতে পারে।
ওই সময় আইএমএফ সতর্ক করে বলেছিল, উচ্চ রাজস্ব ঘাটতি এবং চলমান ঋণ বৃদ্ধির কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্ব অর্থনীতির জন্যও বিপদ সৃষ্টি হতে পারে। এ চাপ কমানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প দিন কয়েক আগে জানিয়েছেন, দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি নামক নতুন এক দপ্তরের দায়িত্ব সামলাবেন ইলোন মাস্ক। প্রযুক্তি খাতের এ ব্যবসায়ী সম্প্রতি জাতীয় ঋণ প্রসঙ্গে সতর্ক করেন জানান, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র ঋণখেলাপি হয়ে পড়তে পারে। এক এক্স পোস্টে অক্টোবরে ইলোন মাস্ক বলেন,”‘কর বাবদ পাওয়া সব অর্থ ঋণের সুদ হিসেবে খরচ হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা গুরুতর প্রয়োজন মেটানোর জন্য কিছুই রেখে যাচ্ছে না।’
কভিড-১৯ মহামারীর সময় যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ঋণের পরিমাণ ঊর্ধ্বমুখী হয়। কভিডজনিত অর্থনৈতিক ক্ষতি পুনরুদ্ধারে বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা বিতরণ করে ওয়াশিংটন। ফলে ঋণের পরিমাণও বাড়তে থাকে দেশটির। ২০১৯ সালের শেষ থেকে ২০২২ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৭ লাখ কোটি ডলার বাড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে চড়া সুদহারও দেশটির জাতীয় ঋণ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। (খবরঃ আরটি)।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন