ইতালির দর্শনীয় স্থানের মধ্যে বরাবরই ওপরের দিকে থাকে অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত পম্পেই নগর। এখন চাইলেই যখন-তখন দক্ষিণ ইতালির আইকনিক অঞ্চলটিতে প্রবেশ করা যাবে না। প্রাকৃতিকভাবে নাজুক এ নগরকে সুরক্ষিত রাখতে দর্শনার্থীর সংখ্যা সীমিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে প্রতিদিন ২০ হাজার দর্শনার্থী পম্পেই পরিদর্শন করতে পারবেন। পম্পেই আর্কিওলজিক্যাল পার্ক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১৫ নভেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এ পদক্ষেপে প্রতিটি দর্শনার্থীর নামসহ টিকিট প্রবর্তন করা হবে। এপ্রিল-অক্টোবরে গ্রীষ্মকালীন ব্যস্ত শিডিউলে দর্শনার্থী প্রবেশে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেয়া হবে। এমন এক সময়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যখন নেপলস শহরের কাছাকাছি অবস্থিত এ সাইটে গ্রীষ্মে রেকর্ড ৪০ লাখের বেশি দর্শনার্থী ভ্রমণ করেন। পার্ক পরিচালক গ্যাব্রিয়েল জুখট্রিগেল বলেন, ‘মানুষের অতিরিক্ত চাপ ও ভূমিকম্প পম্পেইয়ের ঐতিহ্য ধ্বংসসহ নানা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই আমরা সাইটে মানুষের চাপ কমানোর জন্য বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। আমরা ধীর, টেকসই, মনোরম ও ভিড়মুক্ত পর্যটন অভিজ্ঞতার লক্ষ্যে কাজ করছি।’ ৭৯ খ্রিস্টাব্দে মাউন্ট ভিসুভিয়াসের অগ্ন্যুৎপাতের সময় উত্তপ্ত লাভা, প্রাণঘাতী গ্যাস ও বাতাসে ছড়িয়ে যাওয়া ছাইয়ের কারণে পম্পেইয়ের বেশির ভাগ বাসিন্দা মারা যায়। এরপর ছাই ও পিউমিস নামক আগ্নেয় শিলা শহরটিকে ঢেকে ফেলে। এ ধ্বংসযজ্ঞ এখন ভৌতিক আবহময় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে টিকে আছে। অঞ্চলটি সংরক্ষণে একাধিকবার নেয়া হয়েছে উদ্যোগ। প্রাচীন পম্পেই সাইটটি দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ২০১৪ সালের ২৭ লাখ থেকে দর্শনার্থীর সংখ্যা ২০১৯ সালে ৩৯ লাখের বেশি হওয়ায় বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। এর সমাধান হিসেবে দূরবর্তী প্রাচীন স্থাপনাগুলোয় দর্শনার্থী ছড়িয়ে দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে একক টিকিট ও সাইট পরিদর্শনে শাটল সার্ভিস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। (খবরঃ সিএনএন)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন