নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আফগানিস্তানে বাড়ছে আফিম উৎপাদন – The Finance BD
 ঢাকা     সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ন

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আফগানিস্তানে বাড়ছে আফিম উৎপাদন

  • ১০/১১/২০২৪

আফিম চাষে ২০২২ সালে আফগানিস্তানে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় গত বছর দেশটিতে আফিমের উৎপাদন অনেক কমে আসে। তবে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে দেশটিতে আফিমের উৎপাদন প্রায় ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানানো হয়।
বুধবার (৬ নভেম্বর) প্রকাশিত জাতিসংঘের সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটিতে আফিম উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে৷ ২০২৩-এ উৎপাদন কম হলেও, ২০২৪-এ তা আগের বছরের চেয়ে ১৯ শতাংশ বেড়েছে৷
২০২২ সালে তালেবান সরকার কর্তৃক আফিম চাষ নিষিদ্ধ হওয়ার আগে আফগানিস্তান আফিমের এক নম্বর সরবরাহকারী দেশ ছিল৷ তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে আফিম থেকে তৈরি অন্যান্য নেশাদ্রব্যের উৎপাদন ৯৫ শতাংশ কমে এসেছিল। এ বছর উৎপাদন বাড়লেও তা আগের স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তা অনেক কম৷ ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) দ্বারা পরিচালিত বার্ষিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে চাষাবাদ বেড়ে ১২ হাজার ৮০০ হেক্টর হয়েছে৷
ইউএনওডিসির নির্বাহী পরিচালক ঘাদা ওয়ালি বলেন, ‘‘আফগানিস্তানে আফিম চাষ কমে যাওয়ায়, অবৈধ বাজার থেকে মুক্ত আয়ের টেকসই উৎস গড়ে তুলতে আফগান কৃষকদের আমাদের সমর্থন করার সুযোগ ও দায়িত্ব রয়েছে। আফগানিস্তানের নারী ও পুরুষরা মারাত্মক আর্থিক ও মানবিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন এবং তাদের বিকল্প উপার্জন খুব জরুরি বুধবার (৬ নভেম্বর) প্রকাশিত জাতিসংঘের সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটিতে আফিম উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে৷ ২০২৩-এ উৎপাদন কম হলেও, ২০২৪-এ তা আগের বছরের চেয়ে ১৯ শতাংশ বেড়েছে৷
২০২২ সালে তালেবান সরকার কর্তৃক আফিম চাষ নিষিদ্ধ হওয়ার আগে আফগানিস্তান আফিমের এক নম্বর সরবরাহকারী দেশ ছিল৷ তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে আফিম থেকে তৈরি অন্যান্য নেশাদ্রব্যের উৎপাদন ৯৫ শতাংশ কমে এসেছিল। এ বছর উৎপাদন বাড়লেও তা আগের স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তা অনেক কম৷ ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) দ্বারা পরিচালিত বার্ষিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে চাষাবাদ বেড়ে ১২ হাজার ৮০০ হেক্টর হয়েছে৷
ইউএনওডিসির নির্বাহী পরিচালক ঘাদা ওয়ালি বলেন, ‘‘আফগানিস্তানে আফিম চাষ কমে যাওয়ায়, অবৈধ বাজার থেকে মুক্ত আয়ের টেকসই উৎস গড়ে তুলতে আফগান কৃষকদের আমাদের সমর্থন করার সুযোগ ও দায়িত্ব রয়েছে। আফগানিস্তানের নারী ও পুরুষরা মারাত্মক আর্থিক ও মানবিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন এবং তাদের বিকল্প উপার্জন খুব জরুরি৷’’
উৎপাদন বাড়ছে উত্তর-পূর্বে
শুকনো আফিমের দাম প্রতি কেজিতে প্রায় ৭৩০ মার্কিন ডলার, যা নিষেধাজ্ঞার আগের থেকে প্রায় ১০০ মার্কিন ডলার বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ মূল্যের কারণে কৃষকরা নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করতে পারে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে এখন আফিম উৎপাদিত হচ্ছে। যা পরবর্তীতে দক্ষিণ-পশ্চিমের কেন্দ্রস্থল থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়।
তবে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে এ বছর উৎপাদন ৬৫% কমেছে। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল হেলমান্ড প্রদেশ, যেখানে আফিমের চাষাবাদ ৪০০% এরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তর-পূর্ব প্রদেশটি তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানের কাছাকাছি অবস্থিত। সে অঞ্চলটিতে চাষাবাদ প্রায় ৩৮১% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় চারগুণ। মে মাসে, কর্তৃপক্ষ পপি ক্ষেত ধ্বংস করতে বাদাখশানে ব্রিগেড পাঠালে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। তালেবান সরকার কৃষকদের বিকল্প ফসল বা জীবিকার পদ্ধতিতে রূপান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার অনুরোধ করেছে। (সূত্রঃ ডয়চে ভেলে)

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us