পাম অয়েলের বাজার চলতি বছর ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ইন্দোনেশিয়া নতুন বায়োফুয়েল কোটা বাস্তবায়ন করলে আগামী বছরের শুরুর দিকে তেলপণ্যটির দাম আরো ১০-১৫ শতাংশ বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাম অয়েলের বাজার চলতি বছর ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ইন্দোনেশিয়া নতুন বায়োফুয়েল কোটা বাস্তবায়ন করলে আগামী বছরের শুরুর দিকে তেলপণ্যটির দাম আরো ১০-১৫ শতাংশ বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় বিদ্যমান উৎপাদন সংকট ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সার সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় পাম অয়েলের দাম আরো বাড়বে।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস মার্কেটে পাম অয়েলের দাম চলতি বছর ৩৪ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। গত শুক্রবার ২০২২ সালের জুনের পর প্রথমবারের মতো টনপ্রতি ৫ হাজার রিঙ্গিত অতিক্রম করে। এদিন প্রতি টন পাম অয়েল ৫ হাজার ৩৮ রিঙ্গিতে লেনদেন হয়।
ইন্দোনেশিয়া ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বাধ্যতামূলক বি৩৫ বায়োডিজেল কর্মসূচি চালু করেছে। মূলত কার্বন নিঃসরণ কমানো ও ক্রমবর্ধমান জ্বালানি তেল আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে দেশটি। এর আওতায় বায়োডিজেল মিশ্রণে ৩৫ শতাংশ পাম অয়েল থাকতেই হবে। আগামী বছর নাগাদ এ অনুপাত ৪০ শতাংশে (বি৪০) উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার।
তেল বিশ্লেষণ সংস্থা আইএসটিএ মিলকের নির্বাহী পরিচালক থমাস মিলকে ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল কনফারেন্সে বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া বি৪০ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত পাম অয়েলসহ অন্যান্য তেল ও চর্বির দাম বাড়তে থাকবে। পাম অয়েলের দাম”সম্ভবত আরো ১০-১৫ শতাংশ বাড়বে।’
থমাস মিলকের সঙ্গে একমত ইন্দোনেশিয়ার পাম বাগানের জন্য সার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মাল্টি নিয়াগার বিক্রয় নির্বাহী রব্বি সিবারানি। তিনি বলেন, ‘আগামী বছর পাম অয়েলের দাম প্রায় ১০-১৫ শতাংশ বাড়বে। কারণ বৈশ্বিক পরিস্থিতির জন্য সারের দাম বাড়তে পারে।’
ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের (জিএপিকেআই) পরামর্শক বোর্ডের সদস্য জোকো সুপ্রিয়োনো বলেন, ‘বি৪০ কর্মসূচি চালু হলে বছরে অতিরিক্ত ৩০ লাখ টন পাম অয়েলের প্রয়োজন হবে। চলতি বছর ইন্দোনেশিয়ার ৪ কোটি ৮০ লাখ টন পাম অয়েল উৎপাদন হতে পারে, যা গত বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ কম। তবে ২০২৫ সালে এটি বেড়ে পাঁচ কোটি টনে পৌঁছতে পারে।’
খবর : নিক্কেইএশিয়া।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন