MENU
 আরো ৬০ এয়ারবাসের ক্রয়াদেশ রিয়াদ এয়ারের – The Finance BD
 ঢাকা     সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২১ অপরাহ্ন

আরো ৬০ এয়ারবাসের ক্রয়াদেশ রিয়াদ এয়ারের

  • ০৪/১১/২০২৪

সৌদি আরবের পতাকাবাহী রিয়াদ এয়ার ৬০টি এয়ারবাস এ৩২১ কিনছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন কোম্পানিটির সিএফও। এ উড়োজাহাজগুলোর বাজারমূল্য দেড় হাজার কোটি ডলার।
গত বছরের মার্চে যাত্রা করে রিয়াদভিত্তিক এয়ারলাইনস কোম্পানিটি। সম্প্রতি বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এয়ার অপারেটরস সার্টিফিকেট (এওসি) লাভ করেছে রিয়াদ এয়ার। এর পরই এল বড় আকারে ক্রয়াদেশের খবরটি। গত সপ্তাহে সৌদি রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এফআইআই) সম্মেলন। সেখানে এক সাইডলাইন সাক্ষাৎকারে এয়ারবাস কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিয়াদ এয়ারের সিএফও অ্যাডাম বাউকাদিদা। তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্রই দ্বিতীয় দফা এয়ারক্রাফট ক্রয়াদেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি। এটা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে আমরা আরো ৬০টি এয়ারবাস এ৩২১ কিনছি।’
সৌদি অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণের লক্ষ্য অর্জনে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা ‘ভিশন ২০৩০’। অ্যাডাম বাউকাদিদা জানান, রিয়াদ এয়ারের সম্প্রসারণও এ লক্ষ্যের অংশ। দশক শেষে বৈশ্বিক ক্যারিয়ার হয়ে ওঠার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে এটি। এক্ষেত্রে ক্রয়াদেশ দেয়া উড়োজাহাজগুলো সাহায্য করবে।
মধ্যপ্রাচ্য ও বাকি বিশ্বের মধ্যে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদকে কৌশলগত সংযোগস্থল ধরা হয়। এখান থেকে পরিপূর্ণ আকাশ পরিষেবা দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রিয়াদ এয়ার। কোম্পানিটি ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে চালুর লক্ষ্যে কাজ করছে। ২০৩০ সাল নাগাদ ১২০টির বেশি এয়ারক্রাফট যুক্ত হবে রিয়াদ এয়ারের হ্যাঙ্গারে। এ সময় পরিষেবা বিস্তৃত হবে বিশ্বের ১০০ গন্তব্যে।
কোম্পানির সিএফও আরো বলেন, ‘আমরা রিয়াদকে বিশ্বের সঙ্গে এবং বিশ্বকে রিয়াদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চাই।’ এ নিয়ে এয়ারবাসের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা চুক্তিবদ্ধ হলো রিয়াদ এয়ার। বছরের শুরুর দিকে প্রথম চুক্তির ঘোষণা এলেও সেখানে কয়টি উড়োজাহাজ ছিল তা জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম দফায় ৩০টির মতো এয়ারবাসের অর্ডার করা হয়েছিল।
মধ্যপ্রাচ্যের অতিপ্রতিযোগিতামূলক বাজারে দ্রুত বহরের সম্প্রসারণ রিয়াদ এয়ারকে অন্যতম প্রধান কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠার কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ অঞ্চলের এমিরেটস, ইতিহাদ ও কাতার এয়ারওয়েজ বৈশ্বিক পরিসরে ব্যাপক পরিচিত। সাম্প্রতিক এভিয়েশন শিল্পের সম্প্রসারণে এ কোম্পানিগুলোর ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। জ্বালানি খরচ ও স্থায়িত্ব বিশ্বব্যাপী এয়ারলাইনসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। অ্যাডাম বাউকাদিদা জানান, পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি প্রতিষ্ঠায় সৌদি সরকারের উদ্যোগের সঙ্গে কাজ করবেন তারা। (খবরঃ অ্যারাবিয়ান বিজনেস)।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us