চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পূর্বাভাসের তুলনায় বেশি মুনাফা করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি কোম্পানিটি জানিয়েছে, সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাত বিনিয়োগ দ্বিগুণ করবে এবং সম্পদশালী ব্যক্তি ও আন্তর্জাতিক বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে মনোযোগ বাড়াবে।
গত সপ্তাহের শেষ দিকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড জানিয়েছে, গত প্রান্তিকে তাদের কর পরিশোধ-পূর্ব মুনাফা বেড়ে ১৮১ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। গত বছরের একই সময়ে এ বাবদ আয় ছিল ১৩০ কোটি ডলার। এবার সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে করপূর্ব মুনাফা বেড়েছে ৩২ শতাংশ। এর আগে বিশ্লেষকরা পূর্বাভাসে জানিয়েছিলেন, গত সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া প্রান্তিকে কর পরিশোধ-পূর্ব মুনাফা হতে পারে ১৬০ কোটি ডলার।
স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও নিয়মিত খুচরা ক্রেতার পরিবর্তে ধনী ব্যক্তি ও বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ওপর মনোযোগ পরিবর্তনকে প্রতিফলন করছে মুনাফার এ অংক।
ব্যাংকটির পরিকল্পনা অনুসারে, ক্রেতা আকর্ষণ বাড়াতে আগামী পাঁচ বছর সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে একাধিক বিভাগে নতুন নিয়োগের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এরই মধ্যে আয়ের পূর্বাভাস ও মুনাফা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে। এ অনুযায়ী, ২০২৪-২৬ সাল পর্যন্ত শেয়ারহোল্ডারদের ৮০০ কোটি ডলার লভ্যাংশ বিতরণের পরিকল্পনা করেছে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ছিল ৫০০ কোটি ডলার লভ্যাংশ দেয়া।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা দিয়েগো ডি জিওর্গি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথমত আমরা সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এছাড়া আমরা মার্কেট শেয়ার বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করছি। আমাদের বিদ্যমান গ্রাহকরাও ব্যাংকে তাদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।’
ধনী ক্রেতাদের বিশেষভাবে লক্ষ্য করায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের নতুন পরিকল্পনায় গুরুত্ব পাচ্ছে এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলো। দিয়েগো ডি জিওর্গি আরো বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনায় হংকং, সিঙ্গাপুর ও দুবাই স্পষ্টভাবে অনেক বেশি মনোযোগ পাবে।’
ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী বিল উইন্টার্স বলেন, ‘ব্যবসা পদ্ধতিকে আরো সহজ ও মান বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করতে আমরা নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’
ব্যাংকটি জানায়, খুচরা ব্যাংকিং ব্যবসাকে পুনর্গঠন করা হবে। এছাড়া ধনী ও আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের একটি শক্তিশালী পাইপলাইন গড়ে তোলার ওপর মনোযোগ দেয়া হবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যাদের চাহিদা আমাদের সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, সেসব গ্রাহকের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। এছাড়া কিছু ছোট ব্যবসা বিক্রির বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি আরেক ব্যাংক জায়ান্ট এইচএসবিসিও সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতের দিকে মনোযোগ বাড়িয়ে ব্যবসার পুনর্গঠন করেছে। এক্ষেত্রে এশিয়ার উদীয়মান বাজারগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
খবর: এফটি।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন