২০২৫ সালে জ্বালানি তেলের দাম নেমে আসতে পারে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ০৮ Jul ২০২৫, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন

২০২৫ সালে জ্বালানি তেলের দাম নেমে আসতে পারে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে

  • ২৪/১০/২০২৪

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আগামী বছর নাগাদ ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান জেপি মরগান। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আগামী বছর নাগাদ ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান জেপি মরগান। সংস্থাটির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরগুলোয় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ওঠানামা করতে পারে। চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে এর দাম ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলারে উন্নীত হতে পারে। এ নিম্নমুখিতা বজায় রেখে ২০২৫ সালের শেষ দিকে তা নেমে যেতে পারে ৬০ ডলারে।
প্রতিবেদনে জ্বালানি তেলের বাজারে বিদ্যমান অস্থিরতার জন্য পশ্চিম এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাকে দায়ী করা হয়। তবে সৌদি আরব ও ইউএইসহ এ অঞ্চলের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর স্বার্থ এ উত্তেজনাকে সীমিত রাখতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জেপি মরগানের গ্লোবাল কমোডিটি স্ট্র্যাটেজিস বিভাগের প্রধান নাতাশা কানেভা বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে, পশ্চিম এশিয়ার সংঘাতের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকবে।’
বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মার্কিন বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ছিল ব্যারেলপ্রতি ৭১ ডলার। অক্টোবরের শুরুতে তা প্রায় ৮১ ডলারে পৌঁছে। চাহিদা নিয়ে উদ্বেগের কারণে আবারো তা ব্যারেলপ্রতি ৭৩ ডলারে নেমে এসেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় অর্থনীতির দেশগুলোয় চাহিদা কমে যাওয়ায় জ্বালানিপণ্যটির দাম কমছে।
ডাচ বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান রাবোব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ২০২৫ সালে বাজারে প্রায় সাত লাখ ব্যারেল দৈনিক অতিরিক্ত সরবরাহ থাকতে পারে বলে প্রাক্কলন করেছে। এতে জ্বালানিটির দাম কমে যেতে পারে।
এদিকে ভূরাজনৈতিক উদ্বেগ সত্ত্বেও ভারতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী দেশটির পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রী হারদীপ সিং পুরী। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ভারতে জ্বালানি তেলের কোনো সংকট নেই। ব্রাজিল ও গায়ানা থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ হওয়ায় বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে পরিবহন ও বীমা বাবদ খরচ বাড়তে পারে। এতে জ্বালানির খরচ বাড়াতে পারে। এমন প্রেক্ষাপটেও ভারতের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা মোতাবেক পর্যাপ্ত সরবরাহ অক্ষুণ্ন থাকবে।’
ভারতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মোট চাহিদার ৮৫ শতাংশের বেশি আমদানির ওপর নির্ভরশীল। ফলে দাম স্থিতিশীল থাকা দেশটির মুদ্রাস্ফীতি ও জ্বালানির খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জেপি মরগান ও রাবোব্যাংকের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের মজুদ ২০১৭ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। তবে ব্রাজিল ও গায়ানা থেকে অতিরিক্ত সরবরাহ চাপ কমাতে সহায়ক হবে। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল পরিবহনের প্রধান রুট হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে দাম বাড়তে পারে।
আগামী বছরের মধ্যে বিশ্ববাজারে অতিরিক্ত সরবরাহের পূর্বাভাস দিয়েছে জেপি মরগান ও রাবোব্যাংক। এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের চাহিদার পূর্বাভাস দৈনিক তিন লাখ ব্যারেল কমিয়ে এনেছে। সংশোধিত পূর্বাভাসে দৈনিক ১০ কোটি ৪৩ লাখ ব্যারেল চাহিদার কথা বলেছে সংস্থাটি। এছাড়া ব্যবহার কমায় জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাস ২০২৪ ও ২০২৫ সালে চাহিদার বাড়ার পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। (খবরঃ বিজনেস টুডে)।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us