নিষেধাজ্ঞা নীতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও রাশিয়ায় গাড়ি রফতানি বাড়িয়েছে জাপান। নিষেধাজ্ঞা নীতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও রাশিয়ায় গাড়ি রফতানি বাড়িয়েছে জাপান। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সেপ্টেম্বরে রাশিয়ায় ১৩২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি যাত্রীবাহী গাড়ি রফতানি করেছে জাপান। জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, রাশিয়ায় যানবাহনের খুচরা যন্ত্রাংশ রফতানিও বেড়েছে। ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় গত সেপ্টেম্বরে এ খাতে রফতানি বেড়েছে ২১ দশমিক ৩ শতাংশ। অবশ্য সামগ্রিক হিসেবে জাপান থেকে রাশিয়ায় যাত্রীবাহী গাড়ির চালান কমেছে। ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় এ বছরের এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে যাত্রীবাহী গাড়ির চালান কমেছে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ।
২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের সূত্র ধরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো। এ কারণে টোকিও ও মস্কোর সঙ্গে লেনদেন কমে আসে। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সাল থেকে প্রথমবারের মতো গত দুই মাসে (আগস্ট-সেপ্টেম্বর) রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে সামগ্রিক বাণিজ্যিক লেনদেন বেড়েছে। আগস্টে দেশ দুটির মধ্যে আমদানি-রফতানি ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৭৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৬৫ কোটি ৯০ ডলারে পৌঁছেছে। সেপ্টেম্বরে লেনদেনের শক্তিশালী ধারার প্রভাবক ছিল জাপানের গাড়ি সরবরাহ, যা রফতানির ৬৫ শতাংশ। অন্যদিকে এশীয় প্রতিবেশীর কাছে রাশিয়ার রফতানির ৭০ শতাংশ ছিল জ্বালানি।
সেপ্টেম্বরে টোকিও ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি রুশ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনেছে। তবে বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) জাপানের এলএনজি আমদানি কমে ৭ দশমিক ১ শতাংশ। ‘কঠোর নিষেধাজ্ঞা’ অনুসরণের কথা বলা হলেও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাখালিন দ্বীপে রুশ প্রকল্পগুলোয় অংশগ্রহণ অব্যাহত রেখেছে টোকিও।
এছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সেপ্টেম্বরে রাশিয়া থেকে শস্য আমদানি ৯৯৭ দশমিক ৯ শতাংশ, শাকসবজি শতভাগ ও সামুদ্রিক খাবার ২১ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়িয়েছে টোকিও। আবার রাশিয়া থেকে জাপানে পর্যটক প্রবেশ গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। বছরের প্রথম নয় মাসে ৬৩ হাজার ৯০০ রুশ পর্যটককে স্বাগত জানিয়েছে জাপান, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১৩৬ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। (খবরঃ আরটি)।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন