নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম শহরের আকর্ষণ কম নয়, গোটা বিশ্বের পর্যটকরা সেখানে ঢুঁ মারেন। মাত্রাতিরিক্ত পর্যটনের ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অসুবিধা দূর করতে পৌর কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে পর্যটকদের সংখ্যা কমিয়ে আনা।
আমস্টারডামে পর্যটকরা মূলত খালে ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন, ফুলের বাজার ঘোরেন, সুন্দর ছবি তোলেন এবং কফি শপ ও লাল বাতি এলাকায় ঢুঁ মারেন। পর্যটনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার প্রশ্নে মতানৈক্য রয়েছে।
ডিনখেমান কোমো ‘এনাফ ইজ এনাফ’ নামের নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি। তিনি চান, পৌর কর্তৃপক্ষ মাত্রাতিরিক্ত পর্যটনে রাশ টানতে আরো উদ্যোগ নিক। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে মানুষ আসে, তারা টিকটকে দেখে, এখানে বিশেষ এক ধরনের কুকি পাওয়া যায়। তাই এই সব মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছে, এখানে অনেক যানের ভিড়, ফলে পথচারীরা নীরবে রাস্তার উপর হাঁটতে পারছে না ।
মাত্রাতিরিক্ত পর্যটন মোকাবিলায় পৌর কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। বর্তমানে ছুটি কাটানোর জন্য স্বল্পমেয়াদী বাসাভাড়া অনেক বেড়ে গেছে। ইউরোপে প্রায় অন্য কোথাও রাত কাটানোর জন্য এত চড়া মূল্যের কর দিতে হয়না। শহরের কেন্দ্রস্থলে বিশাল টুরিস্ট বাসের প্রবেশ নিষিদ্ধ। রেড লাইট এলাকায় বার ও নাইটক্লাব আজকাল আগেই বন্ধ করে দিতে হয় কিন্তু কর্তৃপক্ষ আরো পদক্ষেপ নিতে চায়।
মেয়র হিসেবে আমেলি স্টেন্স আমস্টারডাম পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, তিনি জানান, আমরা হোটেল নির্মাণ বন্ধ করছি, শহরের কেন্দ্রস্থলে কোনো নতুন হোটেল নেই ফলে আরো কম পর্যটক সেখানে থাকতে পারছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে নদীতে ক্রুজের সংখ্যা অর্ধেকে কমানোর বিষয়ে আমরা ভাবনাচিন্তা করছি এর ফলেও চাপ কিছুটা কমবে। তা সত্ত্বেও পর্যটকদের সংখ্যা কমাতে শহরে আর কী করা যেতে পারে, সেটা স্থির করা কঠিন।
পৌর কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রস্থলের বাইরে কয়েকটি ভবন অধিগ্রহণ করেছে আমস্টারডামের যে সব বাসিন্দা কেন্দ্রস্থলে ভিড়ে ভরা এলাকায় আর যেতে চায় না, এর ফলে তাদের সুবিধা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খবর: ডয়চে ভেলে।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন