গাজায় এখন খাবারের দাম কেমন? – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

গাজায় এখন খাবারের দাম কেমন?

  • ১৭/১০/২০২৪

সেপ্টেম্বরের হিসাবে, উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় খাদ্যপণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। পণ্যের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে এ দাম ওঠানামা করছে, যা অনেকের সাধ্যের বাইরে। ইসরায়েল প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে উত্তর গাজায় প্রায় সমস্ত খাদ্য সহায়তা প্রবেশ বন্ধ রেখেছে। জাতিসংঘের অনুমান অনুযায়ী, সেখানে বসবাসরত প্রায় চার লাখ ফিলিস্তিনি এখন অনাহারের মুখোমুখি।
ইসরায়েলি হামলা এবং জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার আদেশের কারণে খাদ্য বিতরণ পয়েন্ট, রান্নাঘর এবং বেকারিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। উত্তর গাজায় ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)-এ সহায়তায় পরিচালিত একমাত্র সচল বেকারিতে ইসরায়েলি গোলা আঘাত করার পর আগুন ধরে যায়। গাজা উপত্যকা জুড়ে কমপক্ষে ২১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ, অর্থাৎ জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ, বর্তমানে খাদ্য ঘাটতির শিকার। তাদের পাঁচজনের মধ্যে একজন অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছেন। গাজার বেশিরভাগ মানুষের বর্তমানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সামর্থ্য নেই। তারা এখন দাতব্য রান্নাঘর, খাদ্য বিতরণ এবং নগদ কুপনের ওপর নির্ভর করছেন। ইসরায়েলের চলমান হামলার কারণে অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। ফলে গাজাবাসীর বেশিরভাগই চাকরি হারিয়েছেন। আর নগদ সঞ্চয় বা সম্পদ যা ছিল, তাও শেষ হয়ে গেছে। সেপ্টেম্বরের হিসাবে, উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় খাদ্যপণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। পণ্যের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে এ দাম ওঠানামা করছে, যা অনেকের সাধ্যের বাইরে।
যেমন, দক্ষিণ গাজায় ২৫ কেজি ময়দার দাম ১৫০ ডলার, আর উত্তরে একই পরিমাণ ময়দার দাম ১০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছে। যুদ্ধের আগে এক ডজন ডিমের দাম ছিল ৩.৫০ ডলার। এখন এটি দক্ষিণে ৩২ ডলার এবং উত্তরে প্রায় ৭৩ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। নন-ডেইরি গুঁড়ো দুধ উত্তর গাজায় প্রতি চামচ ১ ডলারে বিক্রি হচ্ছে, প্রতি কিলো ১২৪ ডলারে উঠেছে। শিশুদের ইনফ্যান্ট ফর্মুলা উত্তর গাজায় প্রায় পাওয়া যাচ্ছে না। আর দক্ষিণে ৩৫০ গ্রাম ওজনের প্রতি টিন ১৫ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। ইসরায়েল গাজার বেশিরভাগ খামার, কূপ এবং গ্রিনহাউস ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে শসা, টমেটোসহ অন্যান্য তাজা পণ্যের দামও আকাশচুম্বী হয়েছে। (সূত্রঃ দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড)

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us