ইতিহাস গড়ল ইলন মাস্কের মহাকাশ যান স্পেসএক্স – The Finance BD
 ঢাকা     বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

ইতিহাস গড়ল ইলন মাস্কের মহাকাশ যান স্পেসএক্স

  • ১৪/১০/২০২৪

একটা সময় ছিল যখন মহাকাশে একটা রকেট সফলভাবে পাঠাতে পারলেই ব্যাপক আলোড়ন হতো। বর্তমানে মহাকাশে রকেট পাঠানো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে রূপ নিয়েছে। কিছুদিন পরপরই রকেট উৎক্ষেপণের এ ঘটনার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। এক বছরে মহাকাশে সবচেয়ে বেশি রকেট পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। রকেট ইন্ডাস্ট্রিকে ব্যক্তিমালিকানার আওতায় প্রথম নিয়ে আসেন ইলন মাস্ক। তখন রকেটের বুস্টার ছিল এককালীন ব্যবহারের উপযোগী। কিন্তু ইলন মাস্ক দাবি করলেন, রকেট উৎক্ষেপণের এই খরচ কমাতে হবে। এটি করতে গেলে বুস্টারগুলোকে পুনঃব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে কাজ করে গেল তার প্রতিষ্ঠান। সফলও হলো। তবে সমস্যা হয়ে দাঁড়াল সময়। রকেট লঞ্চপ্যাডে ফেরত আনতে যে সময় প্রয়োজন তাতে একদিনে একটির বেশি রকেট মহাকাশে পাঠানো সম্ভব হবে না। তাই ইলন মাস্ক চাইলেন, তৈরি হবে মুভেবল রকেট ক্যাচার।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানের স্টারশিপ রকেটের একটি অংশ এই প্রথমবার লঞ্চ প্যাডে ফিরে এসেছে। রকেট ফিরে আসার ঘটনা বিশ্বে এবারই প্রথম। এরই মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়ল মাস্কের মহাকাশ যান স্পেসএক্স । স্থানীয় সময় রোববার (১৪ অক্টোবর) সফলভাবে উৎক্ষেপণ প্যাডে নিরাপদে অবতরণ করেছে স্টারশিপ রকেটের সুপার হেভি বুস্টার। এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে টেক্সাসের বোকাচিকা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পঞ্চমবারের মতো রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। একপর্যায়ে এর দ্বিতীয় ধাপের মহাকাশযানটি আলাদা হয়ে ভারত মহাসাগরে পড়ে। আর সুপার হেভি বুস্টার ফিরে আসে স্পেসএক্সের টাওয়ারে।
উৎক্ষেপণ টাওয়ারের রোবোটিক শাখা ‘চপস্টিক’ যখন বুস্টারটিকে ধরে ফেলে, তখন সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দ প্রকাশ করে এক্সে স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক লেখেন ‘টাওয়ার রকেটটিকে ধরে ফেলেছে!’ তবে এর আগে স্পেসএক্সের এই প্রচেষ্টা চারবার ব্যর্থ হয়েছে। তবে হাল ছাড়েননি। বরং এটি নিশ্চিত করতে নিজের প্রতিষ্ঠানকে রীতিমত দেউলিয়া করার পথে হাঁটছিলেন ইলন মাস্ক । পঞ্চমবারের প্রচেষ্টায় এসেছে সফলতা।
বিশ্বে তৈরি হওয়া এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপের দুটি অংশ। একটি হচ্ছে ‘সুপার হেভি বুস্টার’ নামের তরল গ্যাসের জ্বালানিচালিত রকেট। আর অপর অংশটি হল ‘স্টারশিপ’ নামের মহাকাশযান- যা এই সুপার হেভি বুস্টারের ওপর বসানো আছে। স্টারশিপ রকেট ১০০ টনের বেশি যন্ত্রপাতি বা ১০০ জন আরোহী বহন করতে পারে। আর সুপার হেভি বুস্টারে আছে ৩৩টি ইঞ্জিন, যা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টিমেস রকেটের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী। পঞ্চমবারের চেষ্টায় আসা এ সফলতা মহাকাশ গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছে বিশ্ববাসী। ইলন মাস্কের স্বপ্ন- অন্যগ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন করতে যাওয়ার উপযোগী রকেট তৈরি করা। যা বার বার ব্যবহার করা যাবে এবং একেকবারে শ’খানেক মানুষকে মঙ্গলগ্রহ ও চাঁদে নিয়ে যাওয়া যাবে। তাই এর উপযোগী করেই বানানো হয়েছে স্টারশিপ রকেট। (তথ্যসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স ও অন্যান্য)

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us