আরব অঞ্চলের ব্যাংকগুলোয় সম্পদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য বেড়েছে। ২০২৩ সালে আগের বছরের তুলনায় এ খাতে সম্পদ বেড়েছে ৫ শতাংশ। সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির দিক থেকে অঞ্চলটিতে এগিয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ব্যাংকগুলো।
আরব মুদ্রা তহবিলের (এএমএফ) তথ্য উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে, ২০২২ সালে এ অঞ্চলের ব্যাংক খাতে সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলার, যা গত বছরে বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।
আরব অঞ্চলের জন্য এএমএফের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন আরো বলছে, এ অঞ্চলের ব্যাংক খাতে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ হিস্যা নিয়ে প্রথম অবস্থানে আরব আমিরাত। এরপর সৌদি আরব, সামগ্রিক ব্যাংক খাতে দেশটির অবদান ২৩ দশমিক ১ শতাংশ।
২০২৩ সালের শেষ নাগাদ গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) অঞ্চলের ব্যাংকগুলো ৭৩ দশমিক ১ শতাংশ হিস্যা নিয়ে আরব অঞ্চলের ব্যাংক খাতের বড় অংশের প্রতিনিধিত্ব করবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা সত্ত্বেও আরব অঞ্চলের ব্যাংক খাতের সম্পদ বেড়েছে। গ্রাহক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জোরদার আস্থার কারণে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আরব অঞ্চলের ব্যাংক খাতের সম্পদ বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ইউএই, সৌদি আরব ও কাতারের ব্যাংকগুলো। এ তিন দেশের ব্যাংকের সম্পদের হিস্যা ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
এএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংক থেকে ঋণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণে ইউএইর ব্যাংকগুলোর প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ ১১ শতাংশে পৌঁছায়। সৌদি আরবের ব্যাংক খাতে প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। এক্ষেত্রে অবদান রেখেছে রিয়েল এস্টেট ঋণের ১১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধি।
সূত্র : অ্যারাবিয়ান বিজনেস।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন