ইথিওপিয়ায় ডলারের দাম বেড়ে দ্বিগুন – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন

ইথিওপিয়ায় ডলারের দাম বেড়ে দ্বিগুন

  • ২২/০৯/২০২৪

ইথিওপিয়া মুদ্রাকে গত ৩০ জুলাই থেকে ভাসমান করা হয়েছে অর্থাৎ এখন থেকে ডলারের বিপরীতে ইথিওপিয়ার মুদ্রা ‘বির’ লেনদেন করা যাবে। এর ফলে রাতারাতি বিরের মূল্যমান এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এর পর থেকে মুদ্রাটির পতন অব্যাহত আছে। ১ ডলারে এখন ১১২ বির পাওয়া যাচ্ছে। মুদ্রা ভাসমান করার আগে পাওয়া যেত ৫৫ বির।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইথিওপিয়ার রাজধানী শহর আদ্দিস আবাবায় একটি ছোট ফ্যাশন হাউস চালান মেদানিত ওলডেজেব্রিয়েল। গত দুই মাসের মধ্যে তাঁর দোকানে পোশাকের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এর ফলে ক্রেতারা আর আপাতত তাঁর দোকানমুখী হচ্ছেন না। বার্তা সংস্থা বলছে, শহরের জমজমাট মেরকাটো মার্কেটে মেদানিত ওলডেজেব্রিয়েলের দোকান। তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পোশাক আমদানি করেন তিনি। এখন তাঁর মন খারাপ, কারণ ‘ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না’। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের হাতে বিকল্প খুব কমই ছিল। গত বছর ফুল, চা আর কফির মতো পণ্য রপ্তানি করে দেশটির মোট আয় ছিল ১১ বিলিয়ন ডলার। সেই তুলনায় আমদানির পেছনে ইথিওপিয়াকে খরচ করতে হয়েছে ২৩ বিলিয়ন ডলার। খাদ্য, যন্ত্রপাতি ও জ্বালানি ছিল দেশটির মূল আমদানিপণ্য।
বিনিময় হারে সংস্কারের আগে ইথিওপিয়ার হাতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ছিল, তা দিয়ে মাত্র দুই সপ্তাহের আমদানি দায় মেটানো যেত। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা অনেক দিন ধরেই যুক্তি দিচ্ছিলেন যে ডলারের সঙ্গে বির পেগ করে রাখার বিষয়টি টেকসই নয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ইথিওপিয়াকে ৩৪০ কোটি ডলার দেওয়ার একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আর বিশ্বব্যাংক ১৫০ কোটি ডলার অর্থায়ন করার পরিকল্পনা করছে। তবে দুটো পরিকল্পনাই স্থগিত রাখা হয়েছিল। কারণ, তাদের চাওয়া ইথিওপিয়া আর দেরি না করে তার মুদ্রাকে স্বাধীনভাবে বিনিময়যোগ্য বলে ঘোষণা করুক। দেশটির এক তৃতীয়াংশ মানুষ প্রতিদিন ২ দশমিক ১৫ ডলারের কম আয় করেন এবং দারিদ্যসীমার নিচে বাস করেন। এসব সাধারণ মানুষের ওপর মুদ্রা ভাসমান করার বিষয়টি খুবই কঠোরভাবে আঘাত হেনেছে। মেরকাটো বাজারে এক ক্রেতা তাঁর বাচ্চাদের জন্য কয়েকটি টমেটো ও কিছু বই কিনতে এসেছিলেন। তাঁর মতে, জিনিসপত্রের দাম এক তৃতীয়াংশ বেড়েছে।
এই ব্যক্তি বলেন, আমার পরিবারে এমন সদস্য আছে, যারা বিদেশে থাকে এবং বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায়। এটা ছাড়া আমরা চলতেই পারতাম না।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us