দলটি ‘এএনডব্লিউজে’ রক্তের গ্রুপ অ্যান্টিজেনের জেনেটিক ভিত্তি শনাক্ত করেছেন, যা এতদিন অজানা ছিল। বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে এমন একটি নতুন রক্তের গ্রুপ সিস্টেম আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) বিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসি’র।
বলা হচ্ছে, এই আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৫০ বছরের পুরোনো রহস্যের সমাধান হয়েছে, যা চিকিৎসা সেবায় বিপ্লব ঘটাতে পারে।
দক্ষিণ গ্লুচেস্টারশায়ারের এনএইচএস ব্লাড অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্ট (এনএইচএসবিটি) বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে এবং ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় একটি গবেষক দল ‘এমএএল’ নামে নতুন এই রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার করেছেন। এতদিন এই রক্তের গ্রুপ নিয়ে বিজ্ঞানীদের অনেক ধোঁয়াশা থাকলেও, এবার সেই রহস্যের জট খুলেছে।
নতুন রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার, রহস্যের জট খুললো ৫০ বছর পর!
দলটি ‘এএনডব্লিউজে’ রক্তের গ্রুপ অ্যান্টিজেনের জেনেটিক ভিত্তি শনাক্ত করেছেন, যা এতদিন অজানা ছিল। বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে এমন একটি নতুন রক্তের গ্রুপ সিস্টেম আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) বিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসি’র।
বলা হচ্ছে, এই আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৫০ বছরের পুরোনো রহস্যের সমাধান হয়েছে, যা চিকিৎসা সেবায় বিপ্লব ঘটাতে পারে।
দক্ষিণ গ্লুচেস্টারশায়ারের এনএইচএস ব্লাড অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্ট (এনএইচএসবিটি) বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে এবং ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় একটি গবেষক দল ‘এমএএল’ নামে নতুন এই রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার করেছেন। এতদিন এই রক্তের গ্রুপ নিয়ে বিজ্ঞানীদের অনেক ধোঁয়াশা থাকলেও, এবার সেই রহস্যের জট খুলেছে।
দলটি ‘এএনডব্লিউজে’ রক্তের গ্রুপ অ্যান্টিজেনের জেনেটিক ভিত্তি শনাক্ত করেছেন, যা এতদিন অজানা ছিল।
‘এএনডব্লিউজে’ একটি বিরল রক্তের গ্রুপ অ্যান্টিজেন, যা ১৯৭২ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল। তবে দীর্ঘদিন ধরে এর সঠিক জেনেটিক ভিত্তি অজানা ছিল। বিশ্বে প্রথমবারের মতো এই পরীক্ষার মাধ্যমে সেই রহস্যের সমাধান করা হয়েছে।
গবেষণায় নিযুক্ত এনএইচএসবিটির সিনিয়র বিজ্ঞানী লুইস টিলি বলেছেন, এই আবিষ্কার বিরল রোগীদের আরও উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পারবে। প্রায় ২০ বছর ধরে এই প্রকল্পে কাজ করা মিসেস টিলি বলেন, “এটি কেবল একটি সংখ্যা নয়, এটি অনেক মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারে।”
নতুন পরীক্ষার মাধ্যমে যাদের শরীরে বিশেষ অ্যান্টিজেনের অভাব রয়েছে, এমন রোগীদের বিজ্ঞানীরা শনাক্ত করতে পারবেন।
এই অ্যান্টিজেনের অভাব থাকলে রক্ত সঞ্চালনের সময় মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। নতুন এই পরীক্ষা সেই ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করবে এবং এর ফলে বিরল রক্তের গ্রুপের দাতাদের সহজে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।
এনএইচএসবিটির ল্যাবরেটরির প্রধান নিকোল থর্নটন বলেছেন, ‘এএনডব্লিউজে’ অ্যান্টিজেনের জেনেটিক ভিত্তি নির্ধারণ করা আমাদের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজগুলোর মধ্যে একটি। এতদিন ধরে গবেষণার পর অবশেষে এই সাফল্য এসেছে, যা বিরল রোগীদের জন্য বিশ্বব্যাপী সুফল বয়ে আনবে।
ল্যাবরেটরির কর্মী ফিলিপ ব্রাউন ২০ বছর আগে লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হন। তিনি রক্ত সঞ্চালন ও অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করেছিলেন—এ ছাড়া তিনি বাঁচতেন না। তিনি বলেন, “আমরা যদি আমাদের রক্ত নিরাপদ ও রোগীদের জন্য ভালো ম্যাচ করতে পারি, তাহলে এটা অবশ্যই সঠিক দিকে একটি পদক্ষেপ।”
এই পরীক্ষার মাধ্যমে এখন ‘এএনডব্লিউজে’-নেগেটিভ রোগী ও দাতাদের শনাক্ত করা যাবে এবং এটি অন্যান্য জেনোটাইপিং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব হবে। নতুন এই আবিষ্কার শুধু যুক্তরাজ্যের জন্য নয়, সারা বিশ্বের জন্য একটি বড় অর্জন বলে মনে করছেন গবেষকরা। (সূত্রঃ দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন