ডলারের দর এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন – The Finance BD
 ঢাকা     সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ন

ডলারের দর এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

  • ১৯/০৯/২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের নীতিসুদ হ্রাসের সময় এগিয়ে আসছে। এর মধ্যেই বিশ্বের প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ডলারের দর এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। তবে ডলার শিগগির আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
বিশ্বের প্রধান ছয়টি মুদ্রার সাপেক্ষে যে ইউএস ডলার ইনডেক্স প্রণয়ন করা হয়, সেই সূচকের মান গত আগস্ট মাসের প্রথম দিকের তুলনায় ৩ শতাংশ কমেছে। পরিণামে এই মুদ্রার মান এখন এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিশ্ববাজারে ডলারের দর মূলত দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। প্রথমত, ফেডারেল রিজার্ভের নীতি সুদহার এবং দ্বিতীয়ত, মার্কিন অর্থনীতির স্বাস্থ্য। গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির হার ধারাবাহিকভাবে কমায় আশা করা হচ্ছে, গত বুধবার ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকে নীতি সুদহার কমানো হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ডলারের বিনিময় হার কমছে।
ডলারের ওপর চাপ বৃদ্ধির আরও কারণ হলো বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, প্রথম ধাপেই ফেডারেল রিজার্ভ শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট হারে নীতিসুদ কমাবে। যদিও আগে ধারণা করা হয়েছিল, নীতি সুদহার প্রথাগতভাবে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট হারে কমানো হবে। বর্তমানে ফেডের নীতি সুদহার ৫ দশমিক ২৫ থেকে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশের মধ্যে—যা গত ২৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
একই সময়ে বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার বিনিময় মূল্য বৃদ্ধির কারণেও ডলারের বিনিময় হার কমেছে। গত বছরের জুলাইয়ের পর জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দর এখন সর্বোচ্চ। জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দরবৃদ্ধির কারণ হলো দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিপরীতমুখী অবস্থান। ফেডারেল রিজার্ভ যেখানে নীতিসুদ কমাতে যাচ্ছে, সেখানে ব্যাংক অব জাপান ইতিমধ্যে নীতিসুদ বাড়াতে শুরু করেছে।
এদিকে ডলারের বিনিময় হার কমলেও যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে চাঙা ভাব দেখা যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার এক দিনের হিসাবে দেশটির পুঁজিবাজারের অন্যতম সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০-এর রেকর্ড উত্থান হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, সে দেশের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে।
বর্তমানে ডলারের বিনিময় হার মূলত মার্কিন অর্থনীতির ওপর নির্ভর করছে। চীন ও ইউরোপের অর্থনীতি নিম্নমুখী হলেও ডলারের ওপর তার প্রভাব সেভাবে পড়ছে না। অন্যান্য দেশের অর্থনীতির ধীরগতির কারণে বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ সরিয়ে নিতে পারেন। অর্থাৎ নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে ডলারভিত্তিক মার্কিন ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
সূত্র: ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us