ইউক্রেনে দখলকৃত অঞ্চলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখা খুলছে রাশিয়া – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন

ইউক্রেনে দখলকৃত অঞ্চলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখা খুলছে রাশিয়া

  • ১৯/০৯/২০২৪

চলতি বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, “ভয়ের কোনো কারণ নেই। আপনাদের ঐ অঞ্চলগুলিতে আরও উৎসাহের সাথে যেতে হবে এবং সেখানে কাজ শুরু করতে হবে। আপনারা যে নিষেধাজ্ঞার ভয় পাচ্ছিলেন সেটা ইতোমধ্যেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাহলে ভয় পাওয়ার কী আছে?”
ইউক্রেনে দখলকৃত নতুন অঞ্চলগুলোতে নিজেদের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর শাখা খুলছে রাশিয়া। এর মাধ্যমে মূলত ঐ অঞ্চলের অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ও শক্তিমত্তার প্রমাণ দিতে চাইছে দেশটি।
মূলত ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে সকল কোম্পানিগুলোকেই দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে প্রবেশে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ও যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবসার ঝুঁকি এড়াতে তা করতে চাইছে না বেশিরভাগ কোম্পানি। কিন্তু রাশিয়ার দুই বৃহৎ এসবিয়ার ব্যাংক ও ভিটিবি দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
এসবিয়ার ব্যাংক ২০২২ সালে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ফাইনান্সিয়াল টাইমসকে বলা হয়, বর্তমানে তাদের পক্ষ থেকে দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে ১৩০টি ক্যাশ মেশিন ও ৪৮টি অঞ্চলে ব্রাঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে।
ব্যাংকটির দাবি অনুযায়ী, ইতোমধ্যে দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে তারা প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে সেবা দিয়েছে। একইসাথে নিজেদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে।
চলতি বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, “ভয়ের কোনো কারণ নেই। আপনাদের ঐ অঞ্চলগুলিতে আরও উৎসাহের সাথে যেতে হবে এবং সেখানে কাজ শুরু করতে হবে। আপনারা যে নিষেধাজ্ঞার ভয় পাচ্ছিলেন সেটা ইতোমধ্যেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাহলে ভয় পাওয়ার কী আছে?”
এদিকে ২০২২ সাল থেকে আরেক কোম্পানি ভিটিবি-কেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কোম্পানিটি ঘোষণা করেছে যে, চলতি বছরের শেষের নাগাদ তারা মারিওপোলে সেবা প্রদান শুরু করবে।
কোম্পানিটির প্রধান এডরেই কসটিন গত জুলাই মাসে লুহানস্কে নিজেদের প্রথম ব্রাঞ্চ উদ্বোধন করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, “এটি শুধু একটি নতুন অফিস নয়। এটি দেশের অর্থনীতিতে অঞ্চলগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়।”
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বহু ইউক্রেনীয় নাগরিক তাদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ফেলে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। ফিরে এসে অনেকেই তাদের এসব প্রতিষ্ঠানে নতুন মালিক দেখতে পেয়েছেন। (সূত্রঃ দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড)

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us