ব্রাজিলে শস্য উৎপাদন কমার পূর্বাভাস কোনাবের – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১০ অপরাহ্ন

ব্রাজিলে শস্য উৎপাদন কমার পূর্বাভাস কোনাবের

  • ১৭/০৯/২০২৪

ব্রাজিলে ২০২৩-২৪ বিপণনবর্ষে শস্য উৎপাদন কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির খাদ্য সরবরাহ ও পরিসংখ্যান সংস্থা কোনাব। পূর্বাভাস অনুসারে, দেশটিতে এ সময় ২৯ কোটি ৮৪ লাখ ১০ হাজার টন শস্য উৎপাদন হতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ কোটি ১৪ লাখ টন কম। তবে পরিমাণ কমলেও এটি হতে যাচ্ছে ব্রাজিলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদন।
কোনাবের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শস্য বপনের শুরুতে নিয়মিত বৃষ্টির অভাব শস্য উৎপাদন কমে যাওয়ার জন্য দায়ী। এছাড়া মেটোপিবা, সাও পাওলো ও পারানা রাজ্যে ফসল বেড়ে ওঠার সময় বৃষ্টির অভাব এবং রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে অতিরিক্ত আর্দ্রতা শস্য উৎপাদন কমে যাওয়ার প্রধান কারণ।
২০২৩-২৪ সালে ব্রাজিলে মোট ৭ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে শস্য আবাদ করা হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল, যা ২০২২-২৩ সালের তুলনায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ বা ১২ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর বেশি। তবে চাষের জমি বাড়লেও দেশটিতে গড় উৎপাদন কমে গেছে। এ সময় প্রতি হেক্টরে ৩ হাজার ৭৩৯ কেজি শস্য উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ২ শতাংশ কম। ২০২২-২৩ সালে হেক্টরপ্রতি ৪ হাজার ৭২ কেজি শস্য উৎপাদন হয়েছিল।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সয়াবিনের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কমে যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে ব্রাজিলে মোট ১৪ কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার টন সয়াবিন উৎপাদনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা ২০২২-২৩ সালের তুলনায় ৭২ লাখ ৩০ হাজার টন বা ৪ দশমিক ৭ শতাংশ কম। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির মধ্যপশ্চিম, দক্ষিণ-পূর্ব ও মেটোপিবা অঞ্চলে সেপ্টেম্বর-নভেম্বরের মধ্যে বৃষ্টির অভাব ও উচ্চ তাপমাত্রার কারণে তেলশস্যটির ফলন কমে গেছে।
কোনাব বলছে, দ্বিতীয় জরিপে প্রধান তেলবীজ উৎপাদনকারী প্রদেশ মাতো গ্রোসোয় ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৪০ হাজার টন তেলবীজ উৎপাদনের তথ্য পাওয়া গেছে, যা প্রথম জরিপের তুলনায় ১১ দশমিক ৯ ও সর্বশেষ আহরণের তুলনায় ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ কম। অন্যদিকে রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে তেলবীজ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ভুট্টা উৎপাদনও ব্যাহত হয়েছে। কোনাবের পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৩-২৪ সালে ১১ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টন ভুট্টা উৎপাদন হতে পারে, যা ২০২২-২৩ সালের তুলনায় ১২ শতাংশ কম। মিনাস জেরায়সসহ গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন অঞ্চলগুলোয় গরম আবহাওয়া ও অনিয়মিত বৃষ্টির কারণে উৎপাদন বিঘ্নিত হয়। এছাড়া মাতো গ্রোসো ও গোইয়াসে আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে অনুকূল থাকলেও মাতো গ্রোসো ডো সুল, সাও পাওলো এবং পারানায় মার্চ ও এপ্রিলে শুষ্ক মৌসুম ও পোকামাকড়ের আক্রমণে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। (খবরঃ ওয়ার্ল্ড-গ্রেইনডটকম)

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us