আগামী বছরের জন্য ২৫০-৩৫০ কোটি ডলারের ভ্যাকসিন বিক্রির পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মডার্না। সম্প্রতি কোম্পানিটি এ তথ্য জানিয়েছে। তারা আরো বলেছে, ২০২৬-২৮ সালের মধ্যে নতুন পণ্য বাজারজাতের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ হারে বাড়তে পারে আয়।
এর আগে চলতি বছরের জন্য ৩০০-৩৫০ কোটি ডলার বিক্রির পূর্বাভাস দিয়েছিল মডার্না, যা ২০২০ সালের শেষের দিকে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন চালুর পর থেকে কোম্পানিটির বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন। কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ছিল কোম্পানিটির প্রথম বাণিজ্যিক পণ্য।
এলএসইজি পূর্বাভাস অনুসারে, কোম্পানিটি ২০২৪ ও ২০২৫ সালে গড়ে যথাক্রমে ৩২৭ ও ৩৭৪ কোটি ডলার আয় করতে পারে। তবে মডার্নার পূর্বাভাসের পর কোম্পানির শেয়ারদরে পতন ঘটেছে। গত বছর কোম্পানিটি জানিয়েছিল যে তারা ২০২৫ সালে বিক্রি বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছে। সম্প্রতি মডার্নার চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার জেমস মক জানান, আগামী বছর বিক্রি বৃদ্ধিতে কিছু অনিশ্চয়তা রয়েছে। কেননা কভিড ও শ্বাসতন্ত্রের সিনসাইশিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিষেধক বিক্রি জটিলতার মুখে পড়তে পারে। তবে ২০২৭ সালের মধ্যে অনুমোদিত ১০টি নতুন পণ্য ২০২৮ সালে উল্লেখযোগ্য আয় নিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, ‘২০২৫ সালের নতুন কিছু পণ্য অনুমোদন পেতে পারে। তবে সেগুলো থেকে তেমন আয় প্রত্যাশিত নয়।’ মডার্না যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এফডিএ) একটি আবেদন জমা দেয়ার পরিকল্পনা করছে। এতে আরএসভি ভ্যাকসিনের অনুমোদনকে ৬০ বছরের কম বয়সী উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্প্রসারণের আবেদন করা হবে। গত মে মাসে আরএসভি ভ্যাকসিন ৬০ বা তার বেশি বয়সীদের ওপর প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে এফডিএ। এর মাধ্যমে জিএসকে ও ফাইজারের ভ্যাকসিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে মডার্না।
কোম্পানিটি আরো বলেছে, তারা একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিনের জন্য এফডিএর কাছে দ্রুত অনুমোদনের অনুরোধ প্রত্যাহার করেছে। এর পরিবর্তে কভিড ও ইনফ্লুয়েঞ্জা উভয়ের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য যৌথ ভ্যাকসিনের আবেদনের ওপর মনোনিবেশ করবে, যা এ বছর জমা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
গত বছর ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য অনুমোদন পেয়েছিল ফাইজারের আব্রিসভো ভ্যাকসিন। গত মাসে কোম্পানিটি জানায়, ১৮ বা তার বেশি বয়সী উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ভ্যাকসিনটি শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরিতে সক্ষম। (খবরঃ রয়টার্স)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন