ব্রাজিলে সম্প্রতি চিনি উৎপাদনের জন্য কম আখ বরাদ্দ করা হয়েছে। এ কারণে দেশটির কেন্দ্রীয় দক্ষিণাঞ্চলে আগস্টের দ্বিতীয়ার্ধে চিনি উৎপাদন কমেছে। এ সময় অঞ্চলটিতে মোট চিনি উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ৬০ হাজার টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ কম। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে শিল্প সংগঠন ইউএনআইসিএ।
সংগঠনটি আরো জানায়, এ সময় আখ মাড়াইয়ের পরিমাণ ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ কমে ৪ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। চিনি উৎপাদনের জন্য বরাদ্দকৃত আখের অংশ (সুগার মিক্স) ছিল ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ। বাকি আখ ইথানল উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। ইউএনআইসিএ জানায়, ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে আগুনে কমপক্ষে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৩০ হেক্টর (৫ লাখ ৭২ হাজার ৮৬৪ একর) আখ খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ১ লাখ ৩২ হাজার ৪০ হেক্টর থেকে এখনো আখ কাটা বাকি ছিল।
চিনি রফতানিতে শীর্ষ দেশগুলোর অন্যতম ভারত। দেশটি টানা দ্বিতীয় বছরের মতো চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। দেশটির স্থানীয় এক সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে বিজনেস রেকর্ডার।
সূত্র জানায়, ভারতে আখের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই চিনির স্থানীয় সরবরাহ ও ইথানল উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে দেশটির সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আন্তর্জাতিক চিনির বাজারে ভারতের অনুপস্থিতির কারণে বিশ্বব্যাপী চিনির সরবরাহ আরো কমে যাবে। এতে নিউইয়র্ক ও লন্ডনের বাজারগুলোয় বেড়ে যেতে পারে পণ্যটির দাম।
সূত্র জানায়, বর্তমান ফসলের পরিস্থিতিতে দেশটি থেকে চিনি রফতানির কোনো সুযোগ নেই। পণ্যটির স্থানীয় চাহিদা পূরণ করার পর আমাদের পরবর্তী অগ্রাধিকার হলো ইথানল উৎপাদনে চিনির ব্যবহার। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য আমাদের আরো আখের প্রয়োজন। (খবরঃ রয়টার্স)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন