চীনে তামা আমদানি কমেছে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ – The Finance BD
 ঢাকা     বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন

চীনে তামা আমদানি কমেছে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ

  • ১৫/০৯/২০২৪

চীনে আগস্টে তামা আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত দেশটির শুল্ক বিভাগের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আমদানি কমানোয় বিশ্ববাজারে ধাতুটির দামে প্রভাব পড়েছে।
শুল্ক বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আবাসন ও শিল্পোৎপাদন খাতে মন্থরগতির কারণে চীনে তামার চাহিদা কমে গেছে। গত মাসে অপরিশোধিত তামা ও তামাজাত পণ্যের আমদানি ৪ লাখ ১৫ হাজার টনে নেমে এসেছে, আগের বছর যা ছিল ৪ লাখ ৭৩ হাজার টন।
এদিকে মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস চলতি মাসের শুরুর দিকে আগামী বছরের জন্য তামার মূল্য পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। পূর্বাভাসে টনপ্রতি ধাতুটির দাম ৪ হাজার ৯০০ ডলার কমিয়ে ১০ হাজার ১০০ ডলারে নামিয়ে এনেছে। এর কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি চীনের মজুদ বাড়ার পাশাপাশি আবাসন খাতের মন্দার কথা উল্লেখ করেছে।
মারুবেনি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক লি শুয়েলিয়ান বলেন, ‘আবাসন খাত ও গাড়ির মতো কিছু টেকসই শিল্প খারাপ পরিস্থিতি পার করছে। এ কারণে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে তামার চাহিদা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের ধাতব পণ্য বিশেষজ্ঞ লুসি ট্যাংও চীনের আবাসন খাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণেও আগস্টে চাহিদা কমেছে বলে জানান তিনি।
তবে সামগ্রিক চাহিদা নিম্নমুখী হলেও পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদন খাত অর্থাৎ বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং অবকাঠামোয় বিনিয়োগ বাড়ায় তামার ব্যবহার বাড়তে পারে।
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটস বলছে, এর আগে বাড়তি দামের কারণে অনেক ব্যবসায়ী তামার কার্যাদেশ বিলম্বিত করেছিলেন। এখন দাম স্থিতিশীল হওয়ায় কার্যাদেশ বাড়তে পারে। ফলে তামার চাহিদাও বাড়তে পারে। তবে এর পরিমাণ ২০২৩ সালের মতো উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে না।
বিশ্লেষক লি শুয়েলিয়ানের পূর্বাভাস, চলতি বছরে চীনের তামা আমদানি ২০২৩ সালের সমান বা কিছুটা বেশি থাকবে। জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সামগ্রিক আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ শতাংশ বেশি হতে পারে।
চীন বিশ্বের বৃহত্তম তামা ব্যবহারকারী। বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ও গাড়িসহ বিভিন্ন শিল্পে ব্যাপকভাবে তামা ব্যবহার হয়। দেশটিতে ধাতবটির চাহিদার ওঠানামা বিশ্ববাজারে এর দামকে প্রভাবিত করে। এছাড়া মার্কিন আর্থিক নীতি ও প্রধান খনিগুলোর উৎপাদনও অন্যতম প্রভাবক।
শুল্ক বিভাগের গত মাসের তথ্যানুসারে, চীনের আকরিক ও কনসেনট্রেট তামা আমদানি আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ২৫ লাখ ৭৪ হাজার টনে নেমেছে। আকরিক ও কনসেন্ট্রেট তামা শোধনাগারের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
Source : নিক্কেই এশিয়া।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us