কোকোর বৈশ্বিক মজুদ কমে চলতি বছরের জুলাইয়ে ১৩ লাখ ২০ হাজার টনে নেমে এসেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে যা ছিল ১৭ লাখ ৯০ হাজার টন। তবে কোকোর উৎপাদন মৌসুম আগামী মাসে শুরু হবে। এ সময় কোকোর উৎপাদন ভালো হতে পারে, যা পুনরায় মজুদ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। ইন্টারন্যাশনাল কোকো অর্গানাইজেশনের (আইসিসিও) নির্বাহী পরিচালক মিশেল অ্যারিয়ন বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান।
মিশেল অ্যারিয়ন বলেন, ‘বিশ্বের কোকো উৎপাদন ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অক্টোবর থেকে পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকার অধিকাংশ কৃষক এখনো কোকো চাষে আগ্রহী। যদিও উৎপাদন দুই বছর আগের মতো হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘এর মধ্যে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তন, ফসলের বিভিন্ন রোগ হতে পারে। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।’
এদিকে চলতি বছর বিশ্বব্যাপী কোকোর দাম আগের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। গত এপ্রিলে এটি রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল। এ সময় প্রতিকূল আবহাওয়া, কোকো বিনের রোগ, চোরাচালান ও অবৈধ খনি থেকে স্বর্ণ উত্তোলনের কারণে উৎপাদন ও বিনের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছিল। এর আগে আইসিসিও প্রান্তিক এক প্রতিবেদনে বৈশ্বিক কোকো উৎপাদনের পূর্বাভাস ১ লাখ ২৯ হাজার টন কমিয়ে ৪৩ লাখ ৩২ হাজার টন করেছে।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন