প্রধান দুই বিভাগ একীভূত করার পরিকল্পনা এইচএসবিসির – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

প্রধান দুই বিভাগ একীভূত করার পরিকল্পনা এইচএসবিসির

  • ১২/০৯/২০২৪

বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ ব্যাংকিং বিভাগ একীভূত করার চিন্তা করছে ইউরোপের বৃহত্তম ব্যাংক এইচএসবিসি। নতুন সিইও জর্জেস এলহেদারির খরচ কমানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবের আওতায় ব্যাংকটির প্রধান তিন বিভাগের দুটি একীভূতকরণের মাধ্যমে একটি ‘সুপার ইউনিট’ তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে ব্যাংকের খরচ কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন জর্জেস এলহেদারি।
বাণিজ্যিক ব্যাংকিং বিভাগ ছোট থেকে মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করে। বিভাগটি ২০২৩ সালে ব্যাংকের মোট আয়ে ৩৫ শতাংশ অবদান রেখেছে। অন্যদিকে গ্লোবাল ব্যাংকিং ও মার্কেটস বিভাগ বেসরকারি বড় কোম্পানিগুলোর বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ ব্যাংকিং নিয়ে কাজ করে। এ বিভাগ ব্যাংকের মোট আয়ে ২৪ শতাংশ অবদান রাখে। নতুন প্রস্তাবের অধীনে গ্লোবাল ব্যাংকিং ও মার্কেটস বিভাগের সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকিং বিভাগকে একীভূত করা হবে। একীভূতকরণের বাইরে থাকা পরিসম্পদ ও ব্যক্তিগত ব্যাংকিং বিভাগ ব্যাংকটির মোট আয়ে প্রায় ৪১ শতাংশ অবদান রাখে।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, একীভূতকরণের মাধ্যমে তৈরি সুপার ইউনিট বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলার আয় করতে পারবে। এটিই হবে ব্যাংকটির সবচেয়ে বড় বিভাগ। নতুন ইউনিটটি বর্তমান পরিসম্পদ ও ব্যক্তিগত ব্যাংকিং বিভাগের আকারকেও ছাড়িয়ে যাবে। এতে কাজ করবে ৯০ হাজারের বেশি কর্মচারী। ফলে ট্রেড ফাইন্যান্স, পেমেন্ট সমাধান, ক্রেডিট ও ঋণ প্রদানের মতো একই ধরনের কাজ করা কর্মীদের ছাঁটাই করা হতে পারে।
২ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন লেবানিজ বংশোদ্ভূত ব্যাংকার জর্জেস এলহেদারি। এর আগে তিনি ব্যাংকটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই তিনি খরচ কমানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকিংয়ের প্রধান ব্যারি ও’বায়র্নকে পরিসম্পদ ও ব্যক্তিগত ব্যাংকিং বিভাগে স্থানান্তর করেছেন।
সম্প্রতি এইচএসবিসি ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স বা কানাডার মতো পশ্চিমা বাজারের তুলনায় আরো লাভজনক অঞ্চল হিসেবে এশিয়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছে।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে উচ্চ সুদহারের কারণে পূর্বাভাসের তুলনায় বার্ষিক আয় বেড়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির। তবে একই সময়ে বাড়তি ব্যয়ের কারণে করপূর্ব মুনাফা কমেছে।
আয় বিবরণীতে এইচএসবিসি উল্লেখ করেছে, প্রযুক্তি খাতে উচ্চ ব্যয় ও মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে পরিচালন ব্যয় ৮১০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ বেশি।
বছরের দ্বিতীয়ার্ধে প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদহার কমিয়ে আনছে। একই সময়ে এইচএসবিসি মুনাফা অর্জন অব্যাহত রাখতে খরচ কমানোর চিন্তা করছে। এরই মধ্যে নতুন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ধীরগতি অবলম্বন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভ্রমণ ও বিনোদন-সংক্রান্ত খরচে কাটছাঁট শুরু করেছে ব্যাংকটি। (খবরঃ ইউরোনিউজ)

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us