শ্লথ হয়ে আসছে বৈশ্বিক সিকিউরিটি অ্যাপ্লায়েন্সের বাজার প্রবৃদ্ধি – The Finance BD
 ঢাকা     বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন

শ্লথ হয়ে আসছে বৈশ্বিক সিকিউরিটি অ্যাপ্লায়েন্সের বাজার প্রবৃদ্ধি

  • ০৮/০৯/২০২৪

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) বিশ্বব্যাপী সিকিউরিটি অ্যাপ্লায়েন্স বা আইটি নিরাপত্তা সরঞ্জাম বাজারের আয় গত বছরের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। বছরওয়ারি হিসাবে বাজারের এ সামান্য প্রবৃদ্ধি সিকিউরিটি অ্যাপ্লায়েন্সের বিক্রির গতি ধীর হয়ে আসার ইঙ্গিত দেয়। এদিকে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে সরঞ্জাম বিক্রি হয়েছে ১০ লাখ ইউনিট, যা গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৪ দশমিক ৩ শতাংশ কম। বাজার গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রযুক্তি বিশ্বে নিরাপত্তা সরঞ্জাম হলো বিশেষ হার্ডওয়্যার ডিভাইস যা একটি নেটওয়ার্ক বা আইটি পরিবেশে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানের উদ্দেশ্য ডিজাইন করা হয়। এ যন্ত্রপাতিগুলো ডিভাইসে অননুমোদিত অ্যাকসেস, ম্যালওয়্যার ও সাইবার আক্রমণের মতো বিভিন্ন হুমকি থেকে সিস্টেম, ডাটা ও নেটওয়ার্ককে রক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়।
আইডিসির প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে সিকিউরিটি অ্যাপ্লায়েন্সের আয় ৪২০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় ২ কোটি ডলার বেশি। তবে এ সময় আইটি নিরাপত্তা সরঞ্জাম বিক্রির পরিমাণ ছিল গত বছরের তুলনায় কম। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিক্রি হওয়া ইউনিটের সংখ্যা কমলেও বাজারের আয় বেড়েছে। কারণ ইউনিটপ্রতি গড় মূল্য হয়তো বেড়েছে অথবা উচ্চ মূল্যের বা উন্নত সিকিউরিটি অ্যাপ্লায়েন্সে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। তবে ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক ও প্রথম প্রান্তিকের আয় তুলনা করে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৫ শতাংশ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে। অর্থাৎ যদিও বছরওয়ারি হিসাবে বাজারের বৃদ্ধি সামান্য সত্ত্বেও, প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যে সিকিউরিটি অ্যাপ্লায়েন্সের আয়ে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি সিকিউরিটি অ্যাপ্লায়েন্স কোম্পানি পালো অ্যাল্টো নেটওয়ার্কস, ফোর্টিনেট, সিসকো, চেক পয়েন্ট, হুয়াওয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
আইডিসি ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে হার্ডওয়্যার সুরক্ষা সরঞ্জামগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন সফটওয়্যার ও পরিষেবাগুলো থেকে আয় বাদ দিয়ে তাদের সিকিউরিটি অ্যাপ্লায়েন্সের শ্রেণীবিন্যাস আপডেট করেছে। বাজার বিশ্লেষণকে পরিমার্জিত করার লক্ষ্যে এ পরিবর্তনে শুধু হার্ডওয়্যার সম্পর্কিত আয়ের ওপর মনোনিবেশ করা হয়েছে। আইডিসির সিকিউরিটি অ্যাপ্লায়েন্স ট্র্যাকার এখন দুটি মূল পরিমাপের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন করে— এক. নতুন হার্ডওয়্যার বিক্রয়ের আয়। দুই. ফার্মওয়্যার আপডেটসংক্রান্ত আয়, যা বিদ্যমান হার্ডওয়্যার যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত চলমান পরিষেবা ও আপডেট থেকে উৎপন্ন আয় বোঝায়। এর মধ্যে প্রযুক্তিগত সহায়তা, রক্ষণাবেক্ষণ ও এরই মধ্যে হার্ডওয়্যার কিনেছেন এমন ক্রেতাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আইডিসির গবেষণা ব্যবস্থাপক কার্লো ডাভিলা বলেছেন, ‘নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি পণ্য যেমন ফায়ারওয়াল ও ইউটিএম (ইউনিফাইড থ্রেট ম্যানেজমেন্ট) ডিভাইসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) যোগ করলে, এসব ডিভাইস নতুন ও জটিল হুমকির বিরুদ্ধে আরো ভালোভাবে সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম হবে। এছাড়া, ডিভাইসগুলোর গতি বাড়ানো ও উন্নত কর্মদক্ষতা নিশ্চিত করে সিকিউরিটি অ্যাপ্লায়েন্সগুলো সাইবার সিকিউরিটি কৌশলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’আইডিসি ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে হার্ডওয়্যার সুরক্ষা সরঞ্জামগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন সফটওয়্যার ও পরিষেবাগুলো থেকে আয় বাদ দিয়ে তাদের সিকিউরিটি অ্যাপ্লায়েন্সের শ্রেণীবিন্যাস আপডেট করেছে। বাজার বিশ্লেষণকে পরিমার্জিত করার লক্ষ্যে এ পরিবর্তনে শুধু হার্ডওয়্যার সম্পর্কিত আয়ের ওপর মনোনিবেশ করা হয়েছে। আইডিসির সিকিউরিটি অ্যাপ্লায়েন্স ট্র্যাকার এখন দুটি মূল পরিমাপের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন করে— এক. নতুন হার্ডওয়্যার বিক্রয়ের আয়। দুই. ফার্মওয়্যার আপডেটসংক্রান্ত আয়, যা বিদ্যমান হার্ডওয়্যার যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত চলমান পরিষেবা ও আপডেট থেকে উৎপন্ন আয় বোঝায়। এর মধ্যে প্রযুক্তিগত সহায়তা, রক্ষণাবেক্ষণ ও এরই মধ্যে হার্ডওয়্যার কিনেছেন এমন ক্রেতাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আইডিসির গবেষণা ব্যবস্থাপক কার্লো ডাভিলা বলেছেন, ‘নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি পণ্য যেমন ফায়ারওয়াল ও ইউটিএম (ইউনিফাইড থ্রেট ম্যানেজমেন্ট) ডিভাইসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) যোগ করলে, এসব ডিভাইস নতুন ও জটিল হুমকির বিরুদ্ধে আরো ভালোভাবে সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম হবে। এছাড়া, ডিভাইসগুলোর গতি বাড়ানো ও উন্নত কর্মদক্ষতা নিশ্চিত করে সিকিউরিটি অ্যাপ্লায়েন্সগুলো সাইবার সিকিউরিটি কৌশলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us