আন্তর্জাতিক বাজারে চলতি বছর বাড়তে পারে টিনের দাম – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন

আন্তর্জাতিক বাজারে চলতি বছর বাড়তে পারে টিনের দাম

  • ০৪/০৯/২০২৪

বিশ্বে শীর্ষ টিন উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়া। সম্প্রতি এ দুই দেশ থেকে ধাতুটির সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এ কারণে চলতি বছরের জন্য টিনের দামের পূর্বাভাস সংশোধন করেছে গবেষণা সংস্থা বিএমআই (ফিচ সলিউশনসের একটি ইউনিট)। এ সময় ধাতুটির দাম বাড়তে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংস্থাটি।
পূর্বাভাসে বিএমআই জানায়, চলতি বছর টনপ্রতি টিনের দাম হতে পারে ৩০ হাজার ডলার। এর আগে দেয়া পূর্বাভাসে চলতি বছর টনপ্রতি টিনের দাম ২৮ হাজার ডলার হতে পারে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাপী টিনের দাম আগস্ট শেষে ছিল টনপ্রতি ৩২ হাজার ৫০০ ডলার। যদিও চলতি বছরের এ পর্যন্ত গড় মূল্য প্রতি টনে ৩০ হাজার ডলারের নিচে রয়েছে।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম টিন উৎপাদনকারী দেশ মিয়ানমার। দেশটির ম্যান মাও খনি থেকে বেশির ভাগ টিন সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এটি পুনরায় চালু করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। বিশ্বে এ ধাতুর সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ ইন্দোনেশিয়া। এ দেশও টিন রফতানিতে উল্লেখযোগ্য কিছু বিঘ্নের মুখোমুখি হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার খনি কোম্পানিগুলোকে বার্ষিক কাজের পরিকল্পনার অনুমোদন দিতে বিলম্ব করছে সরকার। চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশটিতে টিন রফতানি এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৪ শতাংশ কমে গেছে। যদিও বিএমআই আশা করছে, আগামী মাসগুলোয় ইন্দোনেশিয়ার টিন রফতানি আবার বাড়তে পারে।
বিএমআই জানায়, বিশ্বব্যাপী টিনের চাহিদাও দিনদিন বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর বিক্রয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, চীন তার চিপ উৎপাদনক্ষমতায় বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। এদিকে জাপানও দেশে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈশ্বিক টিন ব্যবহারে দ্রুত উল্লম্ফন দেখা দেবে। বিশেষ করে ইলেকট্রনিকস পণ্যসামগ্রী তৈরি ও সৌর প্যানেলে (ফোটোভোলটাইক সেল) ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভবিষ্যতের একটি মূল্যবান পণ্য হিসেবে চিহ্নিত হবে টিন।
সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনায় বিশ্বব্যাপী টিনের দাম আগামী দশকে ‘একটি শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা’ বজায় রাখতে পারে। ২০৩৩ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী টিনের দাম পৌঁছতে পারে টনপ্রতি ৪৫ হাজার ডলারে যা ২০১৬-২০ সালের গড় মূল্য টনপ্রতি ১৮ হাজার ৭২৯ ডলারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
বিএমআই আরো জানায়, ২০২৮ সালের পর থেকে সরবরাহ ঘাটতিতে পড়তে পারে টিনের বাজার। এ সময় খনি থেকে উত্তোলন কার্যক্রম কমে যেতে পারে। ফলে অপরিশোধিত টিনের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেবে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়তে পারে। (খবরঃ মাইনিং ডটকম)

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us