অর্থ-সম্পদের অংকে কাকে ধনী বলা হবে তা দেশ-কাল বিবেচনায় আলাদা। কারণ মূল্যস্ফীতি, সুদহারসহ নানা অর্থনৈতিক কারণে এ সম্পর্কিত ধারণা পাল্টে যায়। যেমনটা বলা যায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক এক জরিপের বরাতে। এতে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের একটি অংশ বলছে, আগের অংক দিয়ে ধনীর হিসাব মেলানো যাবে না। ধনীর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে তারা ২০২৩ সালের তুলনায় সম্পদের পরিমাণ ১২ শতাংশ বাড়িয়ে দেখছেন।
মার্কিন বহুজাতিক আর্থিক সংস্থা চার্লস শোয়াবের জরিপে পাওয়া তথ্য অনুসারে, মার্কিনরা মনে করেন যার সম্পদের পরিমাণ ২৫ লাখ ডলার, তাকেই ধনী বলা যায়।
২০২৩ সালে জরিপে অংশ নেয়া বেশির ভাগ ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, যার পকেটে গড়ে ২২ লাখ ডলার রয়েছে তাকেই তারা ধনী বলবেন। এবারের জরিপে ধনী হিসেবে বিবেচিত হতে অন্তত ২৫ লাখ ডলারের মালিকানা থাকা লাগবে বলে জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।
এ বিষয়ে চার্লস শোয়েবের আর্থিক পরিকল্পনা বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব উইলিয়ামস বলেন, ‘সম্পদ বলতে একেকজন একেক রকম বুঝে থাকেন। কারো কাছে এর অর্থ হলো আর্থিক স্বাধীনতা। কেউ ভাবেন বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা বা নির্দিষ্ট অংকের ডলার।’
জরিপে দেখা যায়, স্থান অনুযায়ী ধনীর ধারণায় পার্থক্য রয়েছে। আর্থিক বিচারে ধনীর সম্ভাব্য সম্পদ নিয়ে ধারণার ক্ষেত্রে ক্যালিফোর্নিয়া শীর্ষস্থানে রয়েছে। জরিপে অংশ নেয়া সান ফ্রান্সিসকো ও দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দাদের মতে, ধনীদের গড় সম্পদের পরিমাণ হতে পারে যথাক্রমে ৪৪ ও ৩৪ লাখ ডলার।
প্রকাশিত অন্যান্য তথ্যে আমেরিকানরা বলেছে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য গড় নিট সম্পদ হতে হবে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ডলার। তবে ২০২৩ সালের তুলনায় অর্থের পরিমাণ এবার কম, তখন জরিপে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ ডলারকে স্বাচ্ছন্দ্য জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট মনে করতেন।
বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য প্রয়োজনীয় গড় নিট সম্পদ গত বছর সর্বোচ্চ ১০ লাখ ডলারে পৌঁছেছিল। কিন্তু এ বছর আমেরিকানদের ধারণা ২০২২ সালে উল্লিখিত অর্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ওই বছর তারা বলেছিলেন ৭ লাখ ৭৫ হাজার ডলার থাকলে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন কাটানো যায়। ২০২১ সালের জরিপে এ অংক ছিল ৬ লাখ ২৪ হাজার ডলার। অর্থাৎ ২০২১ সালের সঙ্গে তুলনা করলে ২০২৪ সাল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে।
গত ৪-১৮ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত এ জরিপে ২১-৭৫ বছর বয়সী ১ হাজার ২০০ জনের মতামত নেয় চার্লস শোয়েব।
Source : দ্য হিল।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন