বাজার চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়ায় ভারতের শিল্পোৎপাদন কার্যক্রমে সম্প্রসারণ আগস্টে তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে আসে। গতকাল প্রকাশিত এক জরিপ অনুসারে, শিল্পোৎপাদন কমে আসা দেশটির উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য কিছুটা নেতিবাচক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে সরকারি খরচ কমে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি আগের প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) ৭ দশমিক ৮ থেকে ৬ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
এদিন প্রকাশ হয়েছে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল সংকলিত এইচএসবিসি ফাইনাল ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই)। এ প্রতিবেদন অনুসারে, আগস্টে দ্বিতীয় মাসের মতো পিএমআই কমে হয়েছে ৫৭ দশমিক ৫ পয়েন্ট। জুলাইয়ে এ সূচক ছিল ৫৮ দশমিক ১ পয়েন্ট। তবে আগস্টের জন্য বিশ্লেষকরা পিএমআই ৫৭ দশমিক ৯ পয়েন্ট হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, মাস শেষে দেখা যায় এর চেয়ে কম অর্জিত হয়েছে।
মাসের হিসাবে পতন সত্ত্বেও সূচকটি গড় পিএমআইয়ের তুলনায় বেশি রয়েছে। শিল্পোৎপাদনের সম্প্রসারণ ও সংকোচনকে পৃথক করা ৫০ পয়েন্ট থেকে বেশি রয়েছে। এছাড়া ২০২১ সালের জুলাইয়ের সূচক থেকে এখনো যথেষ্ট ওপরে।
শিল্পোৎপাদনে চাহিদার কিছুটা পতন ঘটলেও সামগ্রিকভাবে আগস্টে শক্তিশালী ছিল। চাহিদা পরিমাণের জন্য ব্যবহৃত আউটপুট ও নতুন অর্ডারের জন্য উপসূচক উভয়ই সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পয়েন্টে নেমে গেছে। আন্তর্জাতিক চাহিদা জানুয়ারির পর সবচেয়ে ধীরগতিতে বাড়লেও তা শক্তিশালী ছিল আগস্টে।
মার্চের পর ইনপুট খরচের চাপ সর্বনিম্ন থাকলেও আউটপুট মূল্যস্ফীতি জুলাইয়ে প্রায় ১১ বছরে মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতার কাছাকাছি ছিল। কারণ শক্তিশালী চাহিদা থাকায় কোম্পানিগুলো ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খরচ উঠিয়ে নিতে পেরেছিল।
এদিকে জুলাইয়ে ভারতে মূল্যস্ফীতি প্রায় পাঁচ বছরের সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশে নেমে এসেছে। যার প্রভাব পড়তে যাচ্ছে দেশটির সুদহারে। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) জানিয়েছে, আগামী প্রান্তিকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার কমাতে পারে।
চাহিদার বৃদ্ধি ও ব্যবসায়িক আশাবাদ কোম্পানিগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করেছে। দেশটিতে টানা ছয় মাস উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নতুন কর্মী নিয়োগ দেখা যাচ্ছে। তবে টানা দ্বিতীয় মাসে এর গতি কমেছে। (খবরঃ দ্য হিন্দু)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন