মালদ্বীপে বিলাসবহুল রিসোর্টগুলোয় উপসাগরীয় অঞ্চলের পর্যটকদের আগ্রহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। কিছু রিসোর্টে গত বছরের তুলনায় এ অঞ্চলের ভ্রমণকারীদের বুকিং বেড়েছে ৬০ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ দেশটিতে আলট্রা-লাক্সারি হোটেল শিল্পের বিকাশে প্রধান ভূমিকায় উঠে আসছেন ধনী আরবরা। দ্য রেসিডেন্স ও দ্য ওজেন কালেকশনের মতো রিসোর্টের বুকিংয়ে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও কুয়েতের আধিপত্য এখন চোখে পড়ার মতোই। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম কেন্দ্র দুবাই থেকে মাত্র চার ঘণ্টার ফ্লাইট দূরত্বে মালদ্বীপের অবস্থান। তাই বিলাসবহুল ছুটি জন্য দেশটি এখন আকর্ষণীয় বিকল্প। এমনকি উপসাগরীয় পর্যটকরা দীর্ঘ সময় কাটানোর জন্য মালদ্বীপকে বেছে নিচ্ছেন। অনেকে বেড়াতে এসে ছুটি এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় বাড়িয়ে নিচ্ছেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মালদ্বীপও আতিথেয়তা খাতে নিজেদের সক্ষমতা বাড়িয়ে নিচ্ছে। এখানকার রিসোর্টকেন্দ্রিক দ্বীপে একক ভিলাসহ ব্যক্তিগত পরিষেবা সম্প্রসারণ হচ্ছে। বিশেষ করে কাস্টমাইজড অফার বছরব্যাপী বুকিংয়ে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। এ কারণে এখন মালদ্বীপে ভ্রমণ কোনো বিশেষ ঋতুতে সীমাবদ্ধ নেই। হাল দুনিয়ার চাহিদাকে সামনে রেখে দেশটির অনেক রিসোর্ট টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ঝুঁকিতে বরাবরই মালদ্বীপের নাম সামনের দিকে থাকে। ভারত মহাসাগরে মুক্তোর মতো ফুটে থাকা দ্বীপগুলো এখন সৌরশক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকেছে। এর মূল লক্ষ্য কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে নিজেদের হিস্যা পাকাপোক্ত করা। এ উদ্যোগগুলো পর্যটন আকর্ষণ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে আজকাল। সামগ্রিকভাবে মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প দিনদিন শক্তিশালী হচ্ছে। দেশটিতে আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালের পর্যটক বৃদ্ধির হার ছিল ১২ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি বছরের প্রথমার্ধে ৯ শতাংশ বৃদ্ধির কথা জানা গেছে। খাত বিশ্লেষকরা বলছেন, লাক্সারি পর্যটনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও পরিবেশ সংরক্ষণের মধ্যে ভারসাম্য রাখাই দ্বীপটির এখন মূল চ্যালেঞ্জ। (খবরঃ অ্যারাবিয়ান বিজনেস ও ছবি হোটেল হার্ডরক)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন