ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী পর্যাপ্ত পুঁজি না থাকায় চিন্তিত। অন্যদিকে ঋণদাতাদের সমস্যা হলো, তাদের কাছে অনেক বেশি অর্থ জমা পড়ে আছে। এ উদ্বৃত্ত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১৩ কোটি ডলারে। সেখানকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য এ অর্থ একটা বাড়তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চলমান যুদ্ধ ও ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিসের নানা শাস্তিমূলক পদক্ষেপে সেখানকার অর্থনীতি অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে।
ব্যাংকার ও কর্মকর্তারা বলছেন, পশ্চিম তীরের ভল্টে ১১৩ কোটি ডলার অলস পড়ে থাকায় শুধু ঋণদাতারাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না, একই সঙ্গে এ অর্থ দুর্বৃত্তকারীদের নিশানায় পরিণত হয়েছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ অলস পড়ে থাকার কারণে লেনদেনেও বিভিন্ন ধরনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, উদ্বৃত্ত এ অর্থের পরিমাণ চলতি বছরের মধ্যে ২১৫ কোটি ডলারে দাঁড়াতে পারে, যা পশ্চিম তীরের মোট অর্থনৈতিক উৎপাদনের ১৫ শতাংশের বেশি।
ফিলিস্তিনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা একটা সমস্যা। এ উদ্বৃত্ত অর্থ আমাদের ব্যাংক খাত ও ফিলিস্তিনি ব্যবসায়ীদের জন্য নানা জটিলতা তৈরি করছে।’
গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর আগে, পশ্চিম তীরের নগদ অর্থের প্রধান উৎস ছিল ফিলিস্তিনিরা। এসব ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের হয়ে কাজ করতেন এবং তাদের পারিশ্রমিক নগদ অর্থে পরিশোধ করা হতো। তাদের হাত ধরে প্রতি বছর প্রায় ৫৩৮ কোটি ডলার পশ্চিম তীরে আসত। আবার ইসরায়েলে বসবাসরত কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি গ্রিন লাইন অতিক্রম করে কেনাকাটার জন্য পশ্চিম তীরে আসে। তাদের মাধ্যমেও প্রতি বছর পশ্চিম তীরে ১৫০-১৭৫ কোটি ডলার প্রবেশ করে। কিন্তু পশ্চিম তীরের ঋণদাতারা প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৩৭৫ কোটি ডলার ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে পারেন। বাকি অর্থ জমতে জমতে এখন ১১৩ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলে ঢুকে কাজ করার অনুমতি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এতেও পশ্চিম তীরে অলস পড়ে থাকা অর্থের পরিমাণ কমেনি।
Source : এফটি
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন