বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ফলন কমে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে কফির দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। এতে পানীয়টি কিনতে ভোক্তাদের ব্যয় বাড়ছে। পাশাপাশি কফি প্রস্তুতকারকরাও নিম্নমানের কফি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় ইনস্ট্যান্ট কফিতে ব্যবহৃত রোবাস্তা ও উচ্চমানের অ্যারাবিকা কফির দাম বেড়েছে। কফির আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ লন্ডন রোবাস্তা ফিউচার্সে পানীয় দ্রব্যটির টনপ্রতি দাম চলতি সপ্তাহে রেকর্ড ৪ হাজার ৯৭১ ডলারে পৌঁছেছে। একই সময় নিউইয়র্কের ফিউচার মার্কেটে অ্যারাবিকা কফির দাম প্রতি পাউন্ডে ২ ডলার ৪৯ সেন্টে উন্নীত হয়েছে, যা এ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ দামের কাছাকাছি।
বৈশ্বিক কফি উৎপাদনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই হয় ব্রাজিলে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ উচ্চ মানের অ্যারাবিকা কফি। দেশটিতে সাম্প্রতিক ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে ভিয়েতনামে কয়েক মাস ধরে খরা চলেছে। ফলে বৈশ্বিক কফি সরবরাহে দেশটি টানা চতুর্থ বছরের মতো ঘাটতির মুখে। ভিয়েতনাম বিশ্বের সবচেয়ে বড় রোবাস্তা কফি উৎপাদক।
এছাড়া ক্রমবর্ধমান পরিবহন ব্যয়ও কফির আন্তর্জাতিক বাজারে চাপ তৈরি করছে। গত বছরের নভেম্বরে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার ঘটনা ঘটে। এতে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে চলাচলকারী জাহাজগুলো সুয়েজ খাল এড়িয়ে উত্তমাশা অন্তরীপ দিয়ে ঘুরে যেতে বাধ্য হয়।
এসব কারণে বহুজাতিক কফি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও চাপ অনুভব করছে। বাড়তি ব্যয়ের প্রভাব তাদের গ্রাহকদের ওপরও পড়ছে। ইতালিতে এসপ্রেসোর দাম ১ ইউরো ছাড়িয়ে গেছে। গ্রাহকরা কফির স্বাদেও পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন। (খবর: ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন