প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, চীন জাপানি সামুদ্রিক খাবার আমদানি স্থগিত করার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মৎস্য শিল্পের জন্য সহায়তা ব্যবস্থার একটি রূপরেখা উপস্থাপন করবে জাপান সরকার।
ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরিশোধিত এবং পাতলা করে নেয়া পানি সমুদ্রে ছেড়ে দেয়া শুরুর এক বছর পর গতকাল শনিবার, ফুকুশিমা জেলার ইওয়াকি শহরের একটি মাছের বাজার পরিদর্শনের সময় কিশিদা এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, পানি ছেড়ে দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় চীন যে আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তার প্রভাব কমাতে সরকারকে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা আগামী সপ্তাহে এর রূপরেখা উপস্থাপনের জন্য একটি বৈঠক করবেন।
তিনি এও বলেন যে, সরকার এই পানি নিষ্কাশনের পুরো দায়িত্ব নেবে, যা শেষ হতে কয়েক দশক সময় লাগতে পারে। এই নিষেধাজ্ঞাকে বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিহীন একটি প্রতিক্রিয়া বলে অভিহিত করে কিশিদা বলেন, সরকার আবারও চীনকে অবিলম্বে এই ব্যবস্থা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে। তিনি বলেন, সরকার সকল পর্যায়েই তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
ফুকুশিমা জেলার মৎস্য সমবায় সমিতি ফেডারেশনের প্রধান, নোযাকি তেৎসু এই বলে সতর্ক করেছেন যে একটি একক ব্যর্থতাই সমস্ত প্রচেষ্টাকে নষ্ট করে দিতে পারে। এই পানি ছাড়ার প্রক্রিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ভূমিকম্প এবং ৎসুনামির সময় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি চুল্লিতেই জ্বালানি গলে যায়। কেন্দ্রের এই গলিত জ্বালানি ঠান্ডা করতে ব্যবহৃত পানি, বৃষ্টি ও ভূগর্ভস্থ পানির সাথে মিশ্রিত হয়ে আসছে। জমে যাওয়া এই পানির অধিকাংশ তেজস্ক্রিয় পদার্থ অপসারণের জন্য পরিশোধন করা হলেও এতে এখনও ট্রিটিয়াম রয়ে গেছে।
এই পরিশোধিত পানি সমুদ্রে ছাড়ার আগে, ট্রিটিয়ামের মাত্রা সুপেয় জলের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত পর্যায়ের প্রায় এক-সপ্তমাংশে কমিয়ে আনতে এগুলোকে পাতলা করে নিচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পরিচালনা কোম্পানি। (Source: NHK World Japan)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন