বিশ্বে গম উৎপাদনে অন্যতম শীর্ষ দেশ আর্জেন্টিনা। আগামী কয়েক সপ্তাহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় কৃষি অঞ্চলে ঠাণ্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। এতে ২০২৪-২৫ মৌসুমে গম উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলে জানিয়েছে আর্জেন্টিনায় শস্য ক্রয়-বিক্রয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বুয়েনস আইরেস গ্রেইন এক্সচেঞ্জ (বিএজিই)।
আর্জেন্টিনায় ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য প্রায় ৬৩ লাখ হেক্টর জমিতে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়। এরই মধ্যে দেশটির প্রধান উৎপাদন অঞ্চলে গম রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।
আর্জেন্টিনার পূর্বাঞ্চলের উৎপাদন এলাকায় এরই মধ্যে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকরা এখনো বৃষ্টির প্রতীক্ষায় আছেন। তবে তাদের জন্য আশার খবর দিতে পারেনি বিএজিই। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বিএজিইর সাপ্তাহিক আবহাওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী কয়েক সপ্তাহে আর্জেন্টিনার অধিকাংশ কৃষি অঞ্চল প্রধানত শুষ্ক থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা তেমন নেই। তবে অল্প কিছু এলাকায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের (এফএএস) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ মৌসুমে আর্জেন্টিনায় গম উৎপাদন পৌঁছতে পারে ১ কোটি ৮৬ লাখ টনে, গত মৌসুমে যা ছিল ১ কোটি ৫৭ লাখ টন।
এদিকে ২০২৪-২৫ মৌসুমে আর্জেন্টিনা থেকে গমের রফতানি পৌঁছতে পারে ১ কোটি ২৪ লাখ টনে, আগের মৌসুমে যা ছিল ৯২ লাখ টন। ২০২৪-২৫ মৌসুমে দেশটি ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে গম রফতানি করতে পারে বলে এফএএসের প্রতিবেদনে বলা হয়।
শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আর্জেন্টিনার ভুট্টা চাষীরাও চিন্তিত। ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য আগামী সেপ্টেম্বরে তারা বীজ রোপণ শুরু করবেন। এর আগে বৃষ্টি না হলে তাদের বেকায়দায় পড়তে হবে। ২০২৪-২৫ মৌসুমে ৪ কোটি ৯০ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে বিএজিই, যা ২০২৩-২৪ মৌসুম থেকে ২০ লাখ টন কম।
বিরূপ আবহাওয়ায় গম উৎপাদনকারী অন্য দেশগুলোয়ও ফলন কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফ্রান্সে ছোট আকারের গম উৎপাদন ৪১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে কমোডিটি প্রাইসিং এজেন্সি আর্গাস। ফ্রান্সে চলতি বছর প্রতি হেক্টরে ৫ দশমিক ৯৩৩ টন গম উৎপাদন হতে পারে, যা পাঁচ বছরের গড় উৎপাদনের তুলনায় ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ কম। সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে গম রোপণ থেকে শুরু করে মাড়াই পর্যন্ত অতিবৃষ্টির কারণে দেশটিতে ফলন ব্যাপকভাবে কমে যেতে পারে। তবে অস্ট্রেলিয়ার গম উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোয় আবহাওয়া পরিস্থিতি মিশ্র থাকলেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাড়তে পারে গম উৎপাদন।(খবর ঃহেলেনিক শিপিং নিউজ)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন