সিঙ্গাপুরের জ্বালানি তেলবহির্ভূত স্থানীয় রফতানি টানা পাঁচ মাস নিম্নমুখী থাকার পর অবশেষে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। জুলাইয়ে এ খাতে রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। শুক্রবার দেশটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বৈদ্যুতিক ও অবৈদ্যুতিক পণ্যের রফতানি বাড়ায় এ খাতে রফতানি বেড়েছে।
তবে রফতানি বাড়লেও এখনো তা নিম্নমুখী হওয়ার ঝুঁকিতে আছে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। তাদের ভাষ্য, চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, চীনের অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী হওয়ার আশঙ্কায় আবারো সিঙ্গাপুরের রফতানি নিম্নমুখী হতে পারে।
সিঙ্গাপুরে জ্বালানি তেলবহির্ভূত খাতে রফতানি পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে। ব্লুমবার্গের এক জরিপে জুলাইয়ে ১ দশমিক ২ শতাংশ রফতানি বাড়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। বাস্তবে তা বেড়েছে ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এর আগে জুনে এ খাতের সংশোধিত রফতানি ৮ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল।
চলতি বছরের জুনে মাসিক ভিত্তিতে জ্বালানি তেলবহির্ভূভ খাতে সংশোধিত রফতানি দশমিক ৪ শতাশ কমে গিয়েছিল। জুলাইয়ে তা ১২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫৪০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। এর আগে রয়টার্সের এক জরিপে জুলাইয়ে আগের মাসের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ রফতানি বাড়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।
আমদানি-রফতানি বাড়ায় জুলাইয়ে সিঙ্গাপুরের সামগ্রিক বাণিজ্য ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে, যা জুনে ছিল ১ দশমিক ২ শতাংশ।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য তদারক প্রতিষ্ঠান এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুর এক প্রতিবেদনে রফতানি বৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে। প্রতিষ্ঠানটি এর আগে ৪-৬ শতাংশ রফতানি বাড়ার পূর্বাভাস দিলেও তা কমিয়ে ৪-৫ শতাংশে নামিয়ে আনে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জ্বালানি তেলবহির্ভূত স্থানীয় রফতানি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে, যা আগের প্রান্তিকের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ সংকোচনকে ছাড়িয়ে গেছে। সে সময় ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় রফতানি কমে যায়। (সূত্র: রয়টার্স ও স্ট্রেইটস টাইমস)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন