ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের (বিপি) সঙ্গে সম্প্রতি একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। এর আওতায় প্রতিষ্ঠান দুটি প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে বলে জানা গেছে, যা বিরূপ পরিস্থিতিতে মানুষের বসবাস ও অনুসন্ধানকে সহজ করবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এমনকি ভবিষ্যতে চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে খননকাজে বিপির প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে।
বিপি বলছে, চুক্তিটি পৃথিবীতে জ্বালানি তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে চাঁদ, মঙ্গল বা সৌরজগতের অন্য কোনো গ্রহে মানুষের অনুসন্ধানকে আরো উন্নত করবে। ব্রিটিশ এ জ্বালানি তেল ও গ্যাস জায়ান্টের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ জিওভানি ক্রিস্টোফলি বলেন, ‘নাসা ও বিপি উভয়ের উন্নত মানের প্রযুক্তি সক্ষমতা ও চ্যালেঞ্জপূর্ণ পরিবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে; সেটা সমুদ্রতল কিংবা চাঁদ হোক।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় জটিল প্রকৌশলগত সমস্যার দ্রুত সমাধানে সাহায্য করবে। ফলে কম কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে নিরাপদ ও অধিক জ্বালানি জোগান দেয়ায় মনোনিবেশ করতে পারব।’
বিপির গভীর সমুদ্র খননের অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা মঙ্গল গ্রহে অনুসন্ধানে সহায়ক হতে পারে। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি লাল গ্রহটির গভীরে বিপুল পরিমাণে পানি থাকার ইঙ্গিত পেয়েছেন, যা পৃথিবীর বাইরে প্রাণের উপস্থিতি থাকার নতুন সম্ভাবনা সামনে এনেছে। তাদের ধারণা, মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠের ৭-১২ মাইল নিচের শিলায় প্রাচীন মার্সান মহাসাগরের উপস্থিতি থাকতে পারে, যা মঙ্গলে প্রাণের উপস্থিতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠান দুটি ডিজিটাল মডেল ও সিমুলেশন বিনিময় করতে পারে। এগুলো প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানীদের নতুন সরঞ্জাম পরীক্ষা করতে সাহায্য করবে, তা ১৪ হাজার ফুট পানির নিচে হোক বা অন্য একটি গ্রহে ১৪ কোটি মাইল দূরেই হোক। এছাড়া ভবিষ্যতে হাইড্রোজেন, নবায়নযোগ্য ফুয়েল সেল, উচ্চ সক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি, সৌরশক্তি ও ছোট আকারের পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবস্থার সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করতে পারে।
বিপি-নাসার এক বছর আগেই মহাকাশবিষয়ক প্রকৌশল সংস্থা রোলস-রয়েসের সঙ্গে যৌথ গবেষণায় সম্মত হয়েছে ইউকে স্পেস এজেন্সি। স্মল সেল পারমাণবিক শক্তি প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাঁদে মানুষের জীবন ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার সম্ভাবনা পরীক্ষা করবে সংস্থা দুটি। (সূত্র:গার্ডিয়ান)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন